নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হয়রানি মুল মামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেবহাটা উপজেলা রামনাথপুর গ্রামের আক্তার গাজীর ছেলে মৎস্য ব্যবসায়ী রুহুল আমিন গাজী।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের কামটা গ্রামের মৃত মাজেদ সরদারের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মামলা হামলা করে চলছে। গত ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে আমার এবং ২ নং ওয়ার্ডের জামাতের সেক্রেটারি মমিনুর রহমান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ এবং পুলিশ পাঠিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ টি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহিন।
প্রকৃতপক্ষে মাসুদ রানা একজন আওয়ামী লীগের দোসর। তার আছে এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়া সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়া সে বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত। গত ৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ৩১৮ পিস ভারতীয় সিম সহ rab- ৬ তাকে আটক করে।
এ সকল সিম ব্যবহার করে মাদক, নারী- শিশু পাচার সহ বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে বলে৷ আসছে বলে rab পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করলে প্রসাশন দিয়ে হয়রানি করত সে। প্রকৃতপক্ষে আমার বাবা, চাচা ও দাদার পৈতৃক সম্পত্তি ও আমার ক্রয় কৃত ১৪ শতক জমি এবং চাচাদের এওয়াজ সূত্রে বিগত ২০ বৎসর জাবত পরিবার পরিজন নিয়ে পাকা ঘর বাড়ি ও পুকুর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী রুহুল হকের এপিএস শাহিন শাহাজান ও মাসুদ রানা রামনাথপুর মৌজার ৫০৪/৫০৫ দাগের ৫৫ শতকের মধ্যে ৪১ শতক জমি আমার তিন চাচা মুক্তার গাজী, হাসান গাজী, আরশাদ গাজীর কাজ থেকে ক্রয় করেন।
এরপর মাসুদ বাহিনী আমার বসত বাড়িতে ঢুকে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকার নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় আমি গুরুত্ব আহত হই। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলাম। তাদের প্রভাবে থানায় মামলা করতে পারিনি আমার পরিবার। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী একটি আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমান চলমান রয়েছে। আমার চাচারা আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়া না দেওয়ায় আমরা নিরুপায় হয়ে আদালতে শরণাপন্ন হয়ে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটিও চলমান। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মাসুদ ও শাহিন আমাদের পিতা পুত্রের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহিন মামলা দায়ের করে। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মহামান্য আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এরপরও থেমে নেই মাসুদ বাহিনী। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও হয়রানি মুলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মাদক, সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি ও “র” এর এজেন্ট মাসুদ রানার হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।