সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামন অসলের বিরুদ্ধে এক আ’লীগ নেতাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার মৃগীডাঙ্গা গ্রামের মৃত জনাব আলী গাজীর ছেলে আ’লীগ নেতা মোঃ নুরুল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি বৈকারী ইউনিয়ন আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। বিগত ২০১৩ সালে জামায়াতের উশৃঙ্খল নেতা কর্মীরা আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং অফিস পুড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামন অসলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে বাদি করে তার ইচ্ছামত বিভিন্ন ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় দু’টি নাশকতার মামলা করায়। কিন্তু অসলে নিজের ভোল পাল্টে আসামিদেরকে মামলা থেকে অব্যহতি দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। একটি নাশকতাসহ মামুন হত্যা মামলার আসামি অকবর আলীর বাড়িতে ভুরিভোজ করার সময় চেয়ারম্যান অসলেকে আমার মেয়ে দেখে ফেলায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুন জখমের হুমকি দেয়। এঘটনার পর থেকে নাশকতা মামলা আসামিদের দিয়ে আমার পরিবারের উপর অমানুবিক নির্যাতন শুরু করে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামন অসলে ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা।
আ’লীগ নেতা নুরুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, অসলে জামায়াতের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমার ঘের লুট করে দখল করিয়ে দেয় এবং আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে। এমনকি স্থানীয় মৃগীডাঙ্গা বাজারে প্রকাশ্যে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় অসলের সহযোগি নাজমুল হোসেন মিঠু। চেয়ারম্যান অসলে মানবতাবিরোধী অপরাধী আব্দুল খালেক মন্ডলের মামলার স্বাক্ষী না হয়েও নিজেকে স্বাক্ষী হিসাবে প্রচার দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। চাকুরি দেয়ার নাম করে এলাকার মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। একসময় কিছুই না থাকা আসাদুজ্জামন অসলে এখন কোটি কোটি টাকা, শতাধিক বিঘা জমি ও বেশ কয়েকটি ঘেরের মালিক। বানিয়েছেন আলিশান বাড়ি, চড়েছন ৫০লক্ষ টাকার গাড়ি। আ’লীগকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে চোরাকারবারির পাশাপাশি মানুষকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন অসলে। সে ও তার ভাই আতাউর রহমান আতা এবং ছেলে ইনজামুল হক ইনজার সোনা চোরাচালানীর সাথে জড়িত। আতা সোনার একটি বড় চালান সহ বিজিবি’র হাতে আটক হয়। অসলের ছেলে ইনজার নেতৃত্বে বৈকারী এলাকায় একটি ক্যাডার বাহিনী গড়ে উঠেছে। তারাই অসলের বিভিন্ন অপকর্মের সহযোগি হিসাবে কাজ করে। সরেজমিনে তদন্ত করলে তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।
তিনি চিহিৃত চোরকারবারি ও আ’লীগের ভাবমূর্তি নষ্ঠকারি আসাদুজ্জামান অসলেকে দল থেকে বহিষ্কার পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি অকর্ষন করেন। একই সাথে অসলের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবিতে তিনি স্বরাষ্ট্রম›ত্রী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।