নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কলেজ ছাত্রী গৃহবধু শাহিনা রাসুল হাসির হত্যাকারী মামমুদুল হাসান মিল্টন ও সহযোগীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে উত্তাল সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের গোটা বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন। গ্রেফতার চাই,ফাঁিসচাই বিচার চাই এই স্লোগান, ব্যানার আর ফেস্টুন নিয়ে শনিবার দুপুরে বিষ্ণুপুর চাাঁচাই ফুটবল মাঠে জড়ো হয় কয়েক হাজার নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তারা এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে ও মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কলেজ ছাত্রী হাসির হত্যাকারী ও সহযোগীদের ফাঁসির দাবি তোলেন।
আওয়ামীলীগ নেতা মৃনাল কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নিহত হাসির বাবা আমিরুল ইসলাম, মা ফাতেমা খাতুন, ভাই ফয়সাল আলম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হক,বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার উপজেলা সভাপতি গাজী জাহাঙ্গীর কবীর, ইউনুস আলি মোড়ল, গোবিন্দলাল সরদার, ফারজানা শওকাত প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অনার্স এর ছাত্রী শাহিনা রাসুল হাসির (২১) সাথে পাশ্ববর্তি দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনয়নের মোবারক আলি গাজীর পুত্র মাহমুদুল হাসান লিটনের বিয়ে হয় ২ বছর আগে। বিয়ের পর থেকই যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে হাসির উপর। অভিযোগ, মোটর সাইকেল কেনার জন্য ৫লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে দুবছর ধরেই নির্যাতন চলতে থাকে। সর্বশেষ গত ৯জুন কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পুরনের জন্য স্বামীর কাছে টাকা চাইলে শুরু হয় নির্যাতন। ওই দিন সকালে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার লাশ গোসল খানার বাঁশের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হলেও নিহত হাসি ছিল মাটিতে বসা অবস্থায় । এই অবস্থা দেখে এলাকাবাসি পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্বামী মাহমুদুল হাসান মিল্টন (২৮) কে ধরে পুলিশে দেয়। নির্যাতনের সাথে জড়িত হাসির নোনদ মুর্শিদা পারভীন ও শাাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও এদেরকে গ্রেফতার না করায় বিক্ষোাভ সমাবেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বক্তারা এ সময় কলেজ ছাত্রী হাসি হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ ফাঁসর দাবী জানান।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ওসি ( তদন্ত) মিজানুর রহমান মামলার বিষয়ে বলেন, নিহতের স্বামী মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তারের পর জিঙ্গাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।