নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা কলারোয়ায় লুডুস কারখানায় আগুন লেগে পুডে ছাই হয়ে লুডুস তৈরির কারখানা। পুড়ে গেছে কারখানার মালিক ইব্রাহিমের কপাল। পুড়েছে লুডুস তৈরির কাঁচামাল, ঘরের আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক মিটার , সুইচ বোর্ড। পুডে ছাই গেছে বাজার জাত করার অপেক্ষায় থাকা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের তৈরি লুডুস।
মোঃ ইব্রাহিম পিতা আঃ সামাদ সরদার , কলারোয়া, সাতক্ষীরা। এক মাস আগে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, সেনেটারী লাইসেন্স ভ্যাট রশিদ সম্মিলিত কাগজ পত্রদী সব কিছু নিয়ে বৈধ ভাবে ভাড়া নেওয়া ঘরে স্থাপন করে লুডুস তৈরির কারখানা। বিএসটিআই এর লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন। কারিগরদের মেডিকেল সার্টিফিকেটধারী কারিগর নিয়োগ দেই লুডুস তৈরির জন্য। সরকারি বিধি নিষেধ মেনে সব কিছু নিয়ে নিজের সর্বস্ব দিয়ে এবং ব্যাংক লোন নিয়ে লুডুস তৈরির মেশিন সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে নুডুস তৈরি কাজ শুরু করে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস গত ৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় আগুন লেগে যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায় । আগুনে পুড়ে ক্ষতি হয়েছে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা মূল্যের লুডুস তৈরির মেশিনের অনেক অংশ। আগুন লাগার সাথে সাথে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ইব্রাহিম এর সব স্বপ্ন। সব কিছু হারিয়ে পথে এসে দাঁড়িয়েছে ইব্রাহিম। এবিষয়ে এই প্রতিবেদককে কান্না জড়িত কন্ঠে ইব্রাহিম বলেন, আমি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে কারখানাটি স্থাপন করেছিলাম। আনুসঙ্গীক সব কাগজপত্র নিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে একটু একটু করে নিজের স্বপ্ন সাজাতে শুরু করি। এই কারখানায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল ৮টি পরিবারের। কারখানায় আগুন লাগার কারণে তারাও আজ বেকার হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কারখানা। পুড়েছে গেছে আমার সব আশা ভরসা। আজ আমার সব শেষ। আগুনে পুড়ে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি নিঃস্ব। আমার মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে । আমি আর কোন দিন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবো না। এরই মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘা দেওয়ার জন্য আমার প্রতিপক্ষরা কোন একজন সাংবাদিক কে দিয়ে আমার নামে সম্পুর্ন একটা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। সেই সাংবাদিকের করা প্রতিবেদন টি বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই। আমি ঐ প্রতিবেদনটির নিন্দা জানাই।
পূর্ববর্তী পোস্ট