নিজস্ব প্রতিবেদক :অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা গেছে সাংবাদিক আরিফুলে বিরুদ্ধে মামলা দিতে না পেরে পতিতা নারী দিয়ে ধর্ষণ মামলার ফাঁদ পেতে হয়রানি ও গ্রেপ্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহগ।
প্রসঙ্গত ৩মার্চ যুবদল নেতা সোহাগ সাংবাদিক আরিফুলকে তার মৎস্য ঘেরে ডেকে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ও ২ দিনে ৫০টি মামলা দিয়ে পুলিশ দ্বারা গ্রেফতারের ভয় দেখান । কিš‘ দীর্ঘ ১মাস পার হলে ও সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে নিজে কোন মামলা দিতে না পেরে অবশেষে আশাশুনির নৈকাটি গ্রামের নামকরা পতিতা দেহ ব্যবসাকারী কোরবান সরদারের স্ত্রী মাজেদা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করে সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যুবদল নেতা সোহাগ । নিজের জেদ পুরন করতে পতিতা মহিলা দ্বারা ১ মাসে একটি মামলা দিতে পারলেও। আরো ৪৯টি মামলা বাকি রয়েছে । তাহলে কী পতিতা মহিলা ভাড়া করে সর্বশেষ ৫০টি মামলা দিয়ে ইতি টানবেন নাকি প্রাণনাশের হুমকি বাস্তবে পরিনত করবেন । সর্বশেষ সাংবাদিক আরিফুলের শেষ পরিনতি কী হতে পারে এখন শুধু দেখার পালা ।
বহুরুপী এই পতিতা নারী মাজেদার হাতে দিনে থাকে তজবী আর বোরকা । কখন যে কোথায় হারিয়ে যান কেউই বলতেই পারেননা,
আর সেই পতিতা নারীকে মদত জুগিয়ে
সাংবাদিক আরিফুলকে গ্রেপ্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ ।
জানাগেছে এই মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের সাথে সাংবাদিক আরিফুলের আগে থেকেই জায়গা জমির বিরোধ রয়েছে ।
অবশেষে সেই মিথ্যা মামলার প্রধান ১নং সাক্ষী মাজেদার শ্বশুর আফাজদ্দীন নিজেই যুবদল নেতা আবু জাহিদ সোহাগ ও বুধহাটা ইউনিয়ের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঘটনার বর্নণা দিয়ে বলেন এরাই আমার বৌমাকে ঘরের বাহির করে এসব কান্ড ঘটিয়েছে । ধর্ষণের কোন ঘটনায় ঘটেনি আমি কিছুই জানিনা সবই মিথ্যা সাংবাদিক আরিফুল ফাঁসানো হচ্ছে ।
আমি বারবার আমার বৌমাকে আরিফুলের বিরুদ্ধে মামলা করতে নিষেধ করলেও আমার বৌমা আমার কথা শোনেননি।
৩নং সাক্ষী মাজেদার শাশুড়ি ছকিনা বলেন আমি কিছুই জানিনা ধর্ষনের কোন ঘটনাই ঘটেনি আমি কিছুই দেখিনি সবই মিথ্যা । আমার বৌমা এইভাবে সবাইকে ফাঁসিয়ে দেয় ইতোপূর্বে একই গ্রামের রব মোড়লের পুত্র মোক্তারকেও ফাঁসিয়ে দিয়েছিল ।
২ নং সাক্ষী শহিদুল সরদার ৪ নং সাক্ষী সামাদ সরদারে সাথে সাংবাদিক আরিফুলের জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদীন যাবৎ বিরোধ রয়েছে বলে জানাগেছে ।
যুবদল নেতা সোহাগ ও মতিয়ার মেম্বার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন ।
এদিকে সাংবাদিক আরিফুল বলেন স্বৈরাচার বিদায় হলেও স্বৈরাচারের দোষর প্রশাসনের প্রতিটা সেক্টরে বসে আছে এখানে সংস্কার করা খুবই জরুরী । সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত তদন্ত ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে আশাশুনি থানাকে যে এফ আই আর’র আদেশ দিয়েছে এটি আমার উপর জুলুম করা হয়েছে । তদন্ত ছাড়াই এফ আই এর’র নির্দেশ এটি ফাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে চালু ছিলো এখনো যদি একইভাবে দেশের মানুষকে হয়রানি করা হয় তাহলে আইনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে, আমি আদলতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিনয়ের সাথে আহবান করে বলছি প্রতিটা মামলা তদন্ত পূর্বক প্রতিটা মামলার এফ আই আর এর আদেশ দেওয়া হোক । তাতে করে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে এবং সমাজের প্রতিটা মানুষ নিরাপদে থাকবে ।