আবু সাঈদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ.কে.এম শফিউল আযম এর বিরুদ্ধে সময়মত অফিস না করা সহ নানা ধরনের অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় যোগদানের পর হইতে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলেন ইচ্ছামত। ঠিকমত অফিস না করায় হয়রানির শিকার হচ্ছে অফিসে আগত সেবা গ্রহীতারা। সরকারের নিয়ম সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অফিস করার কথা থাকলেও এ.কে.এম শফিউল আযম অফিসে আসেন ইচ্ছাস্বাধীন এমনকি অফিসে আসে ১১টা থেকে সাড়ে ১১ টার দিকে। কিছু সময় অতিবাহিত করে দুপুরে খাওয়ার জন্য বাসায় চলে গেলে বিকালে আর আসেন না। দ্বায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, মাঝে মধ্যে ছুটি না নিয়ে দুই এক দিন অফিস না করে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা তুলে নেয় শুধু তাই নয় অত্র অফিসে সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ডিডি সাহেবের ব্যবহার এতটা খারাপ যে একবার অফিসে আসলে দি¦তীয়বার আসার কথা ভূলে যেতে হয়। সম্প্রতি সাতক্ষীরা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ.কে.এম শফিউল আযম ছুটিতে বাড়িতে গেলে অদ্য ১২ জুলাই অফিস খোলা থাকলেও অফিসে আসার কথা ৯ টার সময় তিনি অফিসে আসেন বেলা ১২ টার দিকে। অফিসে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী মুজাহিদ নামে এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি কাজের জন্য মহিলা অধিদপ্তরের ডিডির নিকট ১১টার সময় অফিসে আসলে জানতে পারি ডিডি এ.কে.এম শফিউল আযম এখনো অফিসে আসেনি এবং আসবে কিনা তাও জানি না। আমার প্রয়োজনীয় কাজ না মিটিয়ে ব্যার্থ হয়ে অফিস থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ.কে.এম শফিউল আযম এর সাথে বেলা ১২ টার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অনলাইনে মিটিং এ ছিলাম। কখন কোথায় কিসের মিটিং সে বিষয়ে কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আমি এখন অফিসে আছি আপনি অফিসে এসে দেখা করেন। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ন কবির সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিককে বলেন, তিনি যদি নিয়মিত অফিস না করে এবং আজকে এখনো কেন অফিসে আসেনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট