নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার অ্যাড. আব্দুর রহমান কলেজের পরিচালনা
পরিষদের সভাপতি মকছুদুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার রমেশ চন্দ্র কর্তৃক
৩ কোটি ৫২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আতœসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিবাদে ও তাদের অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব
মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, লাবসা ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এসএম আবু সুফিয়ান সজল ও একই
ইউনিয়নের জাতীয়পার্টির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রউফ বাবু।
লিখিত বক্তব্যে আবু সুফিয়ান সজল বলেন, সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের
বিনেরপোতা আব্দুর রহমান কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবুল
হোসেন মোঃ মকছুদুর রহমান ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠানকালীন সভাপতি
নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা ৪ বারসহ মোট ৫
বার অবৈধভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সভাপতির দায়িত্বে
থেকে তিনি জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের সংবিধিান
পরিপন্থী ও বিষয় বহির্ভূত শিক্ষাগত যোগ্যতাবিহীন জীববিজ্ঞানের
সহকারী অধ্যাপক রমেশ চন্দ্রকে দীর্ঘ ৪ বছরের অধিকসময় ধরে ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সভাপতি মকছুদুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ রমেশ চন্দ্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি সুশান্ত মন্ডলের যোগসাজশে
পরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় বিধি-বিধান ও
সংবিধি উপেক্ষা করে আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্য,
ব্যাংক জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠাকালে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মকছুদুর রহমান শর্তপূরন না
করে কলেজটি ব্যাক্তি নামে নামকরণের জন্য ১৫ লাখ টাকা ও প্রতিষ্ঠাকালে
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ৩৪ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে ২৩ লাখ টাকার
নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এছাড়া বর্তমান সভাপতি মকছুদুর রহমান ৫
বার বিধি বর্হিভুতভাবে সভাপতি হয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা
মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের বিধি-বিধান ও সংবিধি উপেক্ষা করে
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত ৭১ লাখ ৫০
হাজার টাকার অনিয়ম করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ রমেশ চন্দ্র পরিচালনা পলিষদের সদস্যদের যোগসাজশে অতি সম্প্রতি
জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অনুমতি ব্যাতিত অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে দুই জন ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারীর নিয়োগে ৩০ লাখ টাকা আর্থিক দুর্নীতি করেছেন।
তিনি আরো বলেন, সভাপতি মকছুদুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার রমেশ
চন্দ্র ২০২৩ সালে জাল জালিয়াতের মাধ্যমে ব্যাকডেটে (২০০৫-২০০৬ খ্রিঃ
ঘঞজঈ চালুর পূর্ববর্তী সময় দেখিয়ে) ২২ জনের অধিক প্রভাষক ও কর্মচারী
অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে কমপক্ষে দুই কোটি টাকাআতœসাত করেছেন।
অতিসম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিটের নামে ননএমপিও শিক্ষক সুশান্ত মন্ডল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিকট থেকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।
ইতোমধ্যে তিনি ৫ লাখ টাকা চাঁদা কালেকশনও করেছেন। প্রভাষক সুশান্ত
কুমার মন্ডল সদ্য সমাপ্ত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে
এক কোটির অধিক টাকা ব্যায় করেছেন। তার এই অর্থের একমাত্র উৎস
কলেজের নিয়োগ বানিজ্য। আর এসব খাতে তারা তিন জনে আজ পর্যন্ত
মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা তছরুপসহ নানা অনিয়ম-
দুর্নীতির করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা এ সময় কলেজটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি
মকছুদুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার রমেশ চন্দ্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি
সুশান্ত মন্ডলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ তাদের অপসারনের জন্য
সদর আসনের সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা
করেছেন।