আহসান উল্লাহ বাবলু, উপজেলা প্রতিনিধি ঃ আশাশুনির ক্যান্সারে আক্রান্ত গৃহবধূ নাছিমার অসুস্থতার বিষয়ে সার্বিক খেঁাজখবর নিতে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য গঠনকৃত ফান্ডের টাকা হস্তান্তর করতে তার বাড়িতে যান থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির। মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০টার দিকে উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামের মৃত মুনছুর আলী মালীর ছেলে দিনমুজুর রবিউল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী নাছিমা খাতুন (৩৫) এর বাড়িতে গমন করেন তিনি। গমনকরে তিনি নাছিমা ও তার স্বামী রবিউল এর সাথে কথা বলেন এবং তার সয্যাপাশে গিয়ে অসুস্থতার বিষয়ে সার্বিক খেঁাজখবর নেন। এসময় অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমি গত ২৯শে জানুয়ারী আপনাকে দেখতে এসে ওয়াদা করেছিলাম আপনার চিকিৎসার জন্য ফান্ড তৈরী করে আপনাকে ঢাকায় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসায় সাহায্যে করবো। সে অনুযায়ী আমার নিজস্ব তহবিল ও অন্যদের সহযোগিতা নিয়ে ফান্ড গঠন করে আপনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি। এসময় ক্যান্সারে আক্রান্ত নাছিমার স্বামীর হাতে তার চিকিৎসার জন্য গঠনকৃত ফান্ডের টাকা হস্তান্তর করেন ওসি গোলাম কবির। হস্তান্তরকালে ক্যান্সারে আত্রান্ত নাছিমা কান্নাজড়িত কন্ঠে ওসি গোলাম কবিরের জন্য দোয়া করেন। এসময় ওসি গোলাম কবির গৃহবধূ নাছিমার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। হস্তান্তরকালে আশাশুনি প্রেসক্লাবের সদস্য এম এম নুর আলম, রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রচার সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর নাছিমার চিকিৎসার জন্য আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তার পাশে দঁাড়িয়েছেন। আজ (বুধবার) তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হবে। কিন্তু ঢাকায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রচুর অর্থ প্রয়োজন যা তার দিনমুজুর স্বামী রবিউলের পক্ষে যোগানো সম্ভব নয়। সেজন্য তার চিকিৎসার জন্য কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা বা নগদ সাহায্যের হাত বাড়াতে চাইলে তার স্বামীর মোবাইল নম্বার ০১৭৪৯-০৯০৫৪৬ (বিকাশ) এ যোগাযোগ করার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, নাছিমা খাতুনের গত কয়েক মাস আগে চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটায় থাকা অবস্থায় গলার দুইপাশে টিউমার আকৃতির সৃষ্টি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে রিপোর্টে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে।
পূর্ববর্তী পোস্ট