নিজস্ব প্রতিবেদকঃ :
সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলার ভার্চুয়ালি শুনানি চলাকালে দুই আইনজীবীর মধ্যে বাদানুবাদের জেরে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এম শাহ্ আলম তার নিজ চেম্বারে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এসময় তার অফিস কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়।
সোমবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির তিনতলায়। তবে, সিনিয়র আইনজীবীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এ্যাড. রেজোয়ান উল্লাহ সবুজ জানান, একটি ধর্ষণ মামলার শুনানী চলাকালে সরকারি পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. এম শাহ আলমের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে কটূবাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একদল আইনজীবী এ্যাড. এম শাহ আলমের আইনজীবী সমিতি ভবনস্থ চেম্বারে গেলে তিনি তাদেরকে চেয়ার তুলে আঘাত করতে আসেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি কিল চড় ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে এ্যাড. এম শাহ আলম লাঞ্ছিত হন। পরে সিনিয়র আইনজীবীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ্যাড. এম শাহ আলম বলেন, আমি সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাত বারের সাবেক সভাপতি এবং ছয় বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক। শুনানি চলাকালে পিপির সাথে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে আমার সমর্থকদের অনেকেই হেরে যাওয়ায় বিজয়ী পক্ষের আইনজীবীদের সমর্থকরা এই হামলা চালান। তারা আমাকে লাঞ্ছিত করে এবং আমার অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
অপরদিকে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ বলেন, সাতক্ষীরা জজ আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টে আশাশুনির একটি ধর্ষন মামলা চলাকালীন সময়ে আমি আসামীর জামিনের বিরোধিতা করি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে এটি আমার দায়িত্ব। ভার্চুয়াল কোট চলাকারীর সময়ে এ্যাড. এম শাহ আলম আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে এবং অকত্য ভাষা ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা তার কাছে বিতর্কের বিষয় সম্পর্কে কথা বলতে গেলে তিনি আইনজীবীদের দিকে চেয়ার উঁচু করে তেড়ে আসেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়।
এদিকে, এ ঘটনার পর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্যে কম বেশী উত্তেজনা রয়েছে। তবে কোন পক্ষই এ ঘটনায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের করেননি বলে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি বুরহান উদ্দিন জানিয়েছেন।