জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: কলারোয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে পড়া বন্ধ করে দিলো তার পিতা। কোন উপায় না পেয়ে ওই শিক্ষার্থী থানায় এসে তার পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে আসেন। এসময় অভিযোগটি শুক্রবার (১৯ফেব্রæয়ারী) সকালে পেয়ে থানায় পুলিশ দেখলো যে মেয়েটির পিতা দিনমজুর খুবই গরিব। মেয়েকে রেখে সে আরেকটি বিয়ে করেছে। এখন মেয়েকে পড়ানোর মতো তার কোন সমর্থন নেই। তাই মানবিক দিক থেকে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির ওই মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব নিলেন। প্রতি মাসে ২০০০ হাজার টাকা করে দিবেন বলে জানালেন। একই সাথে নগদ ২০০০ হাজার টাকা তুলে দিলেন ওসি মীর খায়রুল কবির। শুধু তাই নয়, করোনা কালিন সময়ে নিজের পকেটের টাকায় খাবারের ব্যবস্থা করেন এই উপজেলার অবেন অসহায় মানুষদের। এদিকে অসহায় স্কুল ছাত্রীর প্রতি সহানুভূতি মনোভাবের কারণে ওসি মীর খায়রুল কবিরে প্রশংসায় প্রশাংশিত উপজেলাবাসী। এই সহানুভূতির ছবি তুলে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এ প্রসঙ্গে ওসি মীর খায়রুল কবীর বলেন, ‘নামের জন্য কাজ করা যাবে না। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে থাকতে হবে। যাই হোক সমাজিক কাজ করতে তার ভালো লাগে। ওসি মীর খায়রুল কবীর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ সেবা ধর্মের প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনার মতো পুলিশ সদস্যদের এমন অনেক মানবিক উদাহরণ আছে। কিন্তু সেসব ঘটনা পত্রপত্রিকায় সেভাবে প্রচার পায় না। এসব প্রচার পেলে জনগণের মাঝে আমাদের “ইমেজের” পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি। এদিকে ওই স্কুল ছাত্রীর নগদ টাকা দিয়ে এবং প্রতিমাসে ২০০০ হাজার করে পড়ার খরজ দিয়ে উপজেলাবাসীকে নতুন সমাজ গড়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করায় এলাকাবাসী ওসি মীর খায়রুল কবীরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওসির এসব মানবিক ভাল কাজের প্রশংসা করে সমাজসেবক জনদরদী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, ‘পুলিশের মন্দ দিকগুলোই আমরা দেখি। পুলিশ ভালো কাজ করছে। তার একাধিক প্রমাণ দিলেন ওসি মীর খায়রুল কবীর। তাই এ কাজের প্রশংসা না করে পারছি না। হেলাতলা ইউনিয়নের সমাজসেবক আব্দুল মাজেদ বিশ^াস বলেন,ওসির মানবিকতায় আমরা মুগ্ধ। তিনি ভালো কাজ করেছেন। এ জন্য আমার অন্তর থেকে তার প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা জানাই।
পূর্ববর্তী পোস্ট