নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলন কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেছেন, বর্তমান সরকার ভুমিহীনদের স্বপক্ষের সরকার। যেকারনে সারাদেশে ভুমিহীনদের সরকারি খাসজমি এবং গৃহহীনদের সরকারি খরচে বাসগৃহ নির্মান করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশের ভুমিহীনদের জন্য একজন মমতাময়ী মায়ের ভুমিকা পালন করছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। যে জমি প্রকৃত ভুমিহীনদের প্রাপ্য তা যুগযুগ ধরে জালজালিয়াতি করে নিজেদের নামে কাগজপত্র বানিয়ে ভোগদখল করে আসছিল দেবহাটার কিছু ভুমিদস্যু। সরকারি জমি প্রকৃত ভুমিহীনদের মাঝে বন্টন করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। দেবহাটার ভুমিহীনরা ঐক্যবদ্ধভাবে খলিশাখালির জমি দখলে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে সেখানকার নাম দিয়েছেন ‘মুজিব নগর’। আমরা ভুমিহীনদের এমন সাহসী পদক্ষেপের জন্য সাধুবাদ জানাই। একইসাথে মজিব নগরের জমি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ভুমিদস্যুদের জাল কাগজপত্র বাতিলসহ ওই সম্পত্তি সরকারি নিয়মানুসারে জেলার প্রকৃত ভুমিহীনদের মাঝে সুষম বন্টনের জন্য জেলা প্রশাসকসহ বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরোও বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য জীবন দিয়েছেন, তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভুমিহীনদের কল্যানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা চাই বর্তমান সরকারের আমলেই খলিশাখালির জমি ভুমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেয়া হোক। খলিশাখালির ভুমিহীনদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা আগেও ভুমিহীনদের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম, এখনো আছি এবং আগামীতেও ভুমিহীনদের পাশে থেকে তাদের ন্যায্য অধিকায় প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রকৃত ভুমিহীনদের মাঝে জমি বন্টনের উদ্যোগ নিয়ে খলিশাখালির ভুমিহীন নেতারা তাদের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভুমিহীনদের অধিকার প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করতে খলিশাখালির কোন ভুমিহীনের ওপর ভুমিদস্যুরা বা তাদের দোষররা আঘাত হানলে সারাদেশে ভুমিহীন সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন শুরু করা হবে বলেও ঘোষনা দেন তিনি।
শনিবার বিকেলে দেবহাটা উপজেলার ভুমিহীন জনপদ খলিশাখালিতে আয়োজিত এক সভায় বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলন কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার এসব কথা বলেন।
এসময় নোড়ারচক-চারকুনি ভুমিহীন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার তার বক্তব্যে বলেন, নোড়ারচক ও খলিশাখালি এখন অভিন্ন। খলিশাখালির ভুমিহীনদের পাশে আমার নোড়ারচকের ভুমিহীনরা রয়েছে। কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী খলিশাখালিতে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাসরত ভুমিহীনদের ওপর হামলা বা সেখানকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে নোড়ারচক, চারকুনি ও খলিশাখালির ভুমিহীনরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সমুচিত জবাব দেবে বলেও হুশিয়ারি করেন তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলন কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিব ও জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন, খলিশাখালি ভুমিহীন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, উপদেষ্টা ও ভুমিহীন নেতা আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সুনীল স্বর্ণকার, চারকুনির মেম্বর প্রার্থী ইসমাইল গাজী প্রমুখ।
পূর্ববর্তী পোস্ট