ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
প্রায় দুই যুগ ধরে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ অবশেষে ‘একলা চলো’ নীতিতে চলার সিদ্ধান্তের কথা জানাল।
গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানালেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের আর জোট নেই। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি জামায়াত আমিরের।
এদিকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভিডিওতে এমন বক্তব্য দিলেও মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে জামায়াত আমিরের বক্তব্য। দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানোর কারণে আমিরকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। কেউ কেউ আরও আগে জোট ছাড়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিএনপি অনেকটা চুপচাপ। তাদের নেতাকর্মীরা এ নিয়ে তেমন কথা বলছেন না। এমনকি শীর্ষ নেতারাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী নন।
জামায়াত সূত্রে জানা যায়, দলের একটি ঘরোয়া ভার্চ্যুয়াল সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এতোদিন একটা জোটের সঙ্গে ছিলাম। ছিলাম বলে আপনারা হয়তো ভাবছেন কিছু হয়ে গেছে নাকি? আমি বলি হয়ে গেছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এটি একটি জোট ছিলো। ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর জোট তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। সেদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ছিলো। সেটা আর ফিরে আসেনি।
তিনি বলেন, বছরের পর বছর পর এই ধরনের অকার্যকর জোট চলতে পারে না।
বিএনপির সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের আমীর বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি, এর সাথে তারা ঐকমত্য পোষণ করেছে। তারা আর কোন জোট করবে না। এখন যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো। যদি আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করেন তাহলে আমাদের আগামী দিনগুলোতে কঠিন প্রস্তুতি নিতে হবে এবং অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। দোয়া করেন, এসকল ত্যাগ যেনো আল্লাহর দরবারে মঙ্গলজনক হয়। এ ত্যাগের বিনিময়ে আল্লাহ পাক যেন আমাদের পবিত্র একটি দেশ দান করে। যে দেশটা কোরআনের আইনে পরিচালিত হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জামায়াতের তৎকালীন আমির গোলাম আযম এবং ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে চারদলীয় জোট গঠন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।