সাতক্ষীরা ট্রিবিউন ঃ দেশের ৬০টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচন হলেও সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত কাউকে সমর্থন দেয়নি ক্ষমতাসীন দলটি।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় এবং স্থানীয় সরকার জনপ্রনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এসব প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা যোগ দেন। সভা শেষে রাতে দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।
তালিকায় ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে যে সমস্থ জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিলেন তাদের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
এসব জেলাগুলোর মধ্যে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির রুমান, মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল, চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা শেখ শামসুল আবেদিন খোকন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার, নড়াইল জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন এবং সর্বশেষ মনোনীত প্রশাসক হিসেবে তারা নিয়োগ পান। কিন্তু এবার তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
তবে, গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের নাম ৬১ জনের তালিকায় প্রকাশ হলেও পরে সাতক্ষীরা জেলার মনোনীত প্রার্থীর ঘর ফাকা রেখে তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সাতক্ষীরা জেলায় মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
৬০টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের তালিকা নিম্নরূপ:
রংপুর বিভাগ: পঞ্চগড় জেলা পরিষদে আবু তোয়বুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ে মু সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মমতাজুল হক, লালমনিরহাটে মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ, কুড়িগ্রামে জাফর আলী এবং গাইবান্ধা জেলা পরিষদে আবু বকর সিদ্দিক আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ: জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, বগুড়া মকবুল হোসেন, নওগাঁয় একেএম ফজলে রাব্বি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রুহুল আমিন, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও পাবনায় আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকনকে সমর্থন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।
খুলনা বিভাগ: মেহেরপুরে মহাঃ আব্দুস সালাম, কুষ্টিয়ায় সদর উদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান (মনজু), যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পংকজ কুমার কুন্ডু, নড়াইলে সুবাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ এবং ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস ক্ষমতাসীন দল থেকে সমর্থন পেয়েছেন। তবে এই বিভাগের সাতক্ষীরা জেলায় কাউকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।
বরিশাল বিভাগ: বরগুনায় জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠীতে খান সাইফুল্লাহ পনির ও পিরোজপুরে সালমা রহমান আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন।
ঢাকা বিভাগ: টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দীন. মুন্সিগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, ঢাকায় মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আবদুল মতিন ভুঞা, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ, কে, এম, শফিকুল মোরশেদ, ফরিদপুরে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জে মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী ও শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ: জামালপুরে মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান ও নেত্রকোণায় অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।
সিলেট বিভাগ: সুনামগঞ্জে খায়রুল কবির রুমেন, সিলেটে নাসির উদ্দিন খান, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান ও হবিগঞ্জ ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুরে ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালীতে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও কক্সবাজারে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন।