আক্তারুল ইসলাম সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার তালার শালিখা নদীর সাথে সংযুক্ত জোলাখালী খালটি মাদ্রা গ্রামের মধ্যদিয়ে চাঁদকাটি অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত একটি প্রবাহমান খাল। বর্ষা মৌসুমে মাগুরা ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের পানি এই খাল দিয়ে শালিকা নদীতে পড়ে। কিন্তু সেই খালটি এখন প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ ও দু’পাশের জমির মালিকরা বেঁধে দখল করার কারণে এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে।সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, সুদুর অতীত থেকে এই খালটি প্রসস্ত ও প্রবাহিত ছিল। কালের পরিক্রমায় এখন মৃত প্রায়। দু’পারের প্রভাবশালী ভূমি দস্যুরা ধীরে ধীরে গ্রাস করতে করতে এখন ড্রেনে পরিণত করেছে। প্রবাহিত হলেও নেটপাটা দিয়ে ও কোথাও কোথাও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেন এ প্রভাবশালীরা।এই খাস খাল নিয়ে আন্দোলন কারীদের একজন গণেষ বর্মণ সহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, তালার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন এই খালটি ¯্রােতধারা অব্যহত রাখার জন্য উন্মুক্ত করতে গিয়ে প্রভাবশালীদের রোশানলে পড়লেও উন্মুক্ত হয়। তবে হাল ছাড়েনি প্রভাবশালীরা। এখনো অবৈধ ভাবে দখল করে মাছ চাষ করছেন। মান্দ্রা গ্রামের হিরন্ময় ম-ল’র ছত্রছায়ায় তার পেটুয়া বাহিনী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে এই খালে বাঁধ দিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ চাষ করছেন বলে জানান তারা। তারা বলেন, এই খালটি গলাভাঙ্গা মৎস্যজিবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা গ্রহণ করে দোহার গ্রামের গোলাম রব্বানী। প্রকৃত মৎস্যজিবী না হয়েও অবৈধ ভাবে এই সমিতির সভাপতি হয়ে ইজারা নিয়েছেন তিনি। সরকার ঘোষিত মৎস্যজিবীর তালিকায় নাম নেই তার। এলাকাবাসির প্রশ্ন, সে মৎস্যজিবী না হয়েও কি করে সমিতির সভাপতি হলো, কি করে সমিতি রেজিষ্ট্রেশন পেল?তারা আরও বলেন, গোলাম রব্বানী জোলাখালী খাল ইজারা নিলেও এই খালটি তিনি ভোগদখল না করে গলাভাঙ্গার গেট হতে প্রবাহিত সুদখালী খাল অবৈধ ভাবে দখল করে মাছ চাষ করেন। জননমে জিজ্ঞাসা, রব্বানীর খুটির জোর কোথায়?সুদখালী খালটি প্রবাহমান একটি বড় খাল। এই খাল দিয়ে ২টি ইউনিয়নের ১৫টিরও অধিক গ্রামের পানি উঠানামা করে। সরকারের ইজারা ভূক্ত খালের তালিকায় এই খালটির নাম না থাকলেও গোলাম রব্বানী অবৈধ ভাবে দখল করে মাছ চাষ করেন বলে তারা জানান।এবিষয়ে গোলাম রব্বানী বলেন, আমি গলাভাঙ্গা মৎস্যজিবী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সরকারী তালিকাভূক্ত একজন মৎস্যজিবী। সুদখালী খালটি এই সমিতির নামে ইজারা নিয়ে ভোগদখল করি। ইজারা যোগ্য সরকারী খাস খালের তালিকায় এই খালের নাম না থাকা ও মৎস্য অধিদপ্তর ঘোষিত প্রকৃত মৎস্যজিবীর তালিকায় তার নাম না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তারেক সুলতান বলেন, এমন কোনো ঘটনা আছে বলে আমার জানা নেই। সুর্নিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট