মোঃ আকবর হোসেন,তালাঃ
সাতক্ষীরা তালায় নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে ৷
সাবেক এ রাষ্ট্রপতির মৃত্যুবার্ষিকী পালনে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায়, তালা উপজেলায় কোরআন তেলোয়াত, আলোচনা সভা,স্মরণসভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে জনতার ঢল নামে ৷ এ সময় পল্লীবন্ধু এরশাদের স্মৃতিচারণ করেন, জাতীয় পার্টির তালা উপজেলার সফল সভাপতি সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম ৷
বৃহস্পতিবার(১৪ জুলাই) ডাকবাংলা চত্তরে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম৷ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পাটির সাবেক মন্ত্রী জননেতা সৈয়দ দিদার বখ্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তরুণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমান, কলারোয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান।
আরও উপস্হিত ছিলেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মালেক, এ্যাড, জিল্লুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল জলিল, মো: জামালউদ্দিন, কাজী আবুল কাশেম, শক্ষিকুল ইসলাম, মো: আজিজুর রহমান, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম, মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস.এম. তকিম উদ্দীন, জাপা সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আজিজুর রহমান, শেখ মাসুদ হাসান মনি, ডা: মো: আবুল বাশার,আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড:কবির আহমেদ,জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজ সাধারণ সম্পাদক এসএম আকরামুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজু, সহ সভাপতি বোরহান উদ্দীন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মো: ইউনুচ আলী সরদার,সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাসান আলী বাচ্চু,জেলা ছাত্র সমাজের প্রচার সম্পাদক কাজী ইমদাদুল বারী জীবন,তালা সরকারী কলেজ ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমরান হোসেন,জাতীয় তরুন পাটির কেন্দ্রীয় নেতা বিএম বাহলুর রহমানসহ উপজেলার ১২ ইউনিয়ন সভাপতি সম্পাদকসহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন ৷
উল্লেখ্য গত তিন বছর আগে এই দিনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃতবরন করেন৷
তিনি ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন৷ মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করে ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সেনাবাহিনীর প্রধান হন এবং ১৯৭৯ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
দেশের একটি ঐতিহাসিক সংকটময় মুহূর্তে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। দীর্ঘ নয় বছর দেশ পরিচালনা শেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে গ্রেফতার হন তিনি। জেলে থাকা অবস্থায় ওই বছরই রংপুরে জাতীয় সংসদের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। কারাগারে থেকেই ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়ে তিনি পাঁচটি আসনে জয়ী হন।
এরশাদ ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন । ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে জয়ী হয়। এরপর দশম ও চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্যেই অসুস্থ হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্হায় সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের পেশ ইমান ও খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইমাম মাওলানা তাওহীদুর রহমান।
এ সময় বক্তারা এই শোক কে শক্তিতে পরিণত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা কলারোয়া আসনে থেকে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখ্ত কে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।