মোঃ আকবর হোসেন, তালাঃ সাতক্ষীরা তালা জেঠুয়া মহিলা মাদ্রাসায় রান্না ঘরে দগ্ধ মরিয়ম(৮) এর করুন আর্তনাদ, জীবন বাঁচাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, নিরুপায় অসহায় মায়ের সাহায্যের আকুতি ৷
শিশুটির মা মমতাজ বেগম জানান, নয় মাস আগে বড় মেয়ে মরিয়মকে জেঠুয়ার মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দিয়েছিলাম। সেখানে থেকে লেখাপড়া শিখতো। মাদ্রাসায় রান্না করার কোন বাবুচ্চি নেই। ২৯ ডিসেম্বর মাদ্রাসায় একটা মেয়ে রান্না করছিল, সে গোসলে যাওয়ার আগে মরিয়মকে রান্না দেখার জন্য রেখে যায়। সেখানে জামাকাপড়ে আগুন ধরে যায় মরিয়মের। এতে তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায় ৷ তার চিকিৎসা করাতে দৈনিক ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বিভিন্ন মানুষদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে মরিয়মের চিকিৎসা করছি। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের চারতলায় শিশু ওয়ার্ডে ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৷ শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে ৬টি বড় অপারেশন করাতে হবে ৷ এখন পর্যন্ত ১টি অপারেশন করা হয়েছে, তার জন্য দেড়লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে, বর্তমানে তার চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন, তিনি বিত্তবান সহায়তাদানকারী ব্যক্তিদের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জানা যায়,গত ২৯ ডিসেম্বর মাদ্রাসায় রান্না করার কোন বাবুচ্চি না থাকায় ০৮ বছরের শিশুটিকে দিয়ে রান্না করান মাদ্রাসার সুপার মুফতি আব্দুল হামিদ । রান্না করার সময় জামাকাপড়ে আগুন ধরে যায় মরিয়মের। এতে তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায় ৷ আগুনে পুড়ে গেলেও সুপার কোন মানুষকে না জানিয়ে ২ঘন্টা পর প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করান, কোন সুফল না হওয়ায় ৪/৫ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর, প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, এরপর নেওয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সেখান থেকে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু ও তালা উপবলেন, রান্না করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যায় মেয়েটি। পরিবারটি খুবই গরীব। সবার সহযোগিতায় তার চিকিৎসা চলছে। আমি নিজেও সহায়তা করেছি।
যোগাযোগ ০১৭১৯৪৩২১০৪ অথবা
০১৯৪২১৫৮৬৬৯ (শিশুটির মা মমতাজ বেগম)।