ফিরোজ হোসেন : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় টেকসই ও অর্থবহ করতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে রুকন সম্মেলন ও শিক্ষা বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। শুক্রবার সকালে শহরের মুন্সিপাড়াস্থ আলামিন ট্রাস্টে সাবেক এমপি কাজী শামসুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।।
সংগঠনটির সাতক্ষীরা জেলা আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জামায়াতের জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, সহকারী সেক্রেটারী প্রফেসর ওবায়দুল্লাহ, প্রফেসর ওমর ফারুক,
মাহবুবল আলম, জেলা কর্মপরিষদ এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, ডা.মাহমুদুল হক, জামশেদ আলম প্রমুখ। প্রধান অতিথি এসময় বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এ বিজয়
টেকসই ও অর্থবহ করতে দল-মত-নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় রুকনদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সকল পর্যায়ে দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করতে হবে। ছাত্র-জনতার
গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে স্বৈরাচার সরকার পালিয়েছে। দেশটাকে এখন নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে
সেজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে দেশ গড়ার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। তিনি
আরো বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা মানুষের মর্যাদা দেয়নি, বরং আমাদের ক্ষেত্রে সব সময় শূন্য সহনশীলতা দেখানো হয়েছে।
আমাদের ওপর অঘোষিতভাবে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ আগে থেকেই ছিল। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। প্রথমসারির সকল নেতাকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। কিন্তু তারা জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করতে পারেনি। জামায়াত কাঙ্খিত গন্তব্যে সফলভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। আগামী দিনে মানবতার মুক্তির জন্য বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশাল্লাহ।
পূর্ববর্তী পোস্ট