নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটায় তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রবীন ও গুরু মা খ্যাত রত্না হিজড়ার ঘর থেকে রাতের আঁধারে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সম্পদ লুটে পালিয়েছে তারই আশ্রিত ও পালিত শিষ্য ডলি হিজড়া। অভিযুক্ত ডলি হিজড়া কালীগঞ্জ উপজেলার কদমতলা গ্রামের আবুল কাশেম ওরফে খোঁড়া কাশেমের সন্তান। বুধবার রাতে দেবহাটার রামনাথপুরে গুরু মা রত্না হিজড়ার বাড়ীতে তিনিসহ অভিযুক্ত ডলি ও অন্যান্য হিজড়ারা একসাথে ঘুমিয়ে পড়ার পর যেকোন সময় রত্নার আলমারী খুলে অর্থ-সম্পদ লুটে পুলিয়ে যায় ডলি। এঘটনায় শুক্রবার রত্না হিজড়া বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় অভিযুক্ত ডলি হিজড়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী রত্না জানান, বিগত প্রায় ১৪ বছর পূর্বে তার গুরু মা বেবি হিজড়ার মৃত্যু হলে বিভিন্ন জেলার হিজড়া সম্প্রদায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে ও সম্মতিক্রমে তিনি দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার হিজড়াদের নেতৃত্বে আসেন। সেই থেকে গুরু মা হিসেবে তিন উপজেলার সকল হিজড়াদের আশ্রয়, লালন-পালন ও নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে দেবহাটার রামনাথপুরে নিজ বাড়ীতে হিজড়াদের নিয়ে বসবাস করেন তিনি। সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারই শিষ্য কালীগঞ্জের খুশি হিজড়া ও ঝুমুর হিজড়ার সাথে তার বিরোধ হয়। কয়েকদিন আগে খুশি ও ঝুমুর হিজড়া দলবল নিয়ে তার ওই বাড়ীতে হামলাও চালায়। বুধবার রাতের খাওয়া শেষে অভিযুক্ত ডলি হিজড়া, বেগুনী হিজড়া, মুন্নি হিজড়াসহ কয়েকজন মিলে একসাথে তার বাড়ীর বারান্দার ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের যেকোন সময়ে ডলি হিজড়া তার বালিশের নিচ থেকে চাবি নিয়ে আলমারী খুলে রত্নার সঞ্চিত সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মুল্যের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ডলি হিজড়াকে খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে আলমারী খুলে সঞ্চিত অর্থ-সম্পদ লুটের বিষয়টি নিশ্চিত হন রত্না। তার ধারনা খুশি ও ঝুমুর হিজড়ার প্ররোচনায় পড়ে ডলি হিজড়া তার চল্লিশ বছরের পরিশ্রমের বিনিময়ে সঞ্চিত ওই সম্পদ নিয়ে পালিয়েছে।