স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবহাটায় হযরত আলী নামের এক উশৃঙ্খল জামাইয়ের বেধড়ক পিটুনিতে স্ত্রী মেহেরুন নেছা (২৫) এবং মনিরুল ইসলাম (৪৫) ও রকিবুল ইসলাম (৩২) নামের দুই শ্যালক গুরুতর জখম হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বহেরা গ্রামে এ মারপিটের ঘটনাটি ঘটে। মারপিটে আহত মনিরুল ইসলাম ও রকিবুল ইসলাম বহেরা গ্রামের জামসেদ গাজীর ছেলে এবং মেহেরুন নেছা তাদের ছোট বোন। বর্তমানে তারা সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় মেহেরুন নেছা বাদী হয়ে রাতেই তার উশৃঙ্খল জামাই হযরত আলী, শ^শুর হামিদ শাহাজি ও শ^াশুড়ি মঞ্জুয়ারা’র বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনিরুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর আগে হযরত আলীর সংসারে দুটি সন্তান রেখে সড়ক দূর্ঘটনায় তাদের বড় বোন মারা গেলে বাচ্চাদের দেখাশুনার দোহাই দিয়ে তাদের ছোটবোন মেহেরুন নেছাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন হযরত আলী। এরপর থেকে প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের সংসারে অশান্তি চলে আসছিল। সোমবার সন্ধ্যায় এমনই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই শ্যালক মনিরুল ও রকিবুলকে ফোন করে আকর্ষিক বোনের বাড়িতে ডাক দেয় বোন জামাই হযরত। সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের দুই ভাইয়ের সাথে বোন জামাই হযরত বাকবিতন্ডতা শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের বোনকে বাবা’র বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি’র সুত্রপাত ঘটে। একপর্যায়ে বোনের জামাই হযরত, শ^শুর হামিদ শাহাজি ও শ^াশুড়ি মঞ্জুয়ারা তাদের দুই ভাইয়ের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এতে রকিবুলের মাথা ফেঁটে যায় এবং মনিরুল গুরুতর আহত হয়। এসময় দুই ভাইকে বাঁচাতে তাদের বোন মেহেরুন নেছা এগিয়ে গেলে জামাই, শ^শুর ও শ^াশুড়ি মিলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের তিন ভাইবোনকে উদ্ধার করে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্যাহ বলেন, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।