স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটায় দীর্ঘ একযুগ পর অবৈধ দখলদারকে হটিয়ে আবুর আলী গাজী (৫৫) নামের এক অসহায় বৃদ্ধকে তার বন্দোবস্তের সরকারি জমি বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। বন্দোবস্ত পাওয়ার পর অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে জমি ফিরে পেতে একে এক ১২ বছর পার হলেও সবশেষে হাসি ফুটেছে অসহায় আবুর আলী ও তার পরিবারের মুখে। তিনি উত্তর পারুলিয়া খাঁসপাড়া গ্রামের মৃত শাহাদাত আলীর ছেলে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর নির্দেশে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা সার্ভেয়ার শফিকুল ইসলাম ও পারুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসার মোস্তফা মনিরুজ্জামান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসির উপস্থিতিতে জমির মাপ-জরিপ শেষে সীমানা নির্ধারণ করে অসহায় বৃদ্ধ আবুর আলীকে তার নামে বন্দোবস্তকৃত এক একর জমিটি বুঝিয়ে দেন।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পারুলিয়া মৌজার ১ নং খতিয়ানের ১০২১৫ দাগের এক একর সরকারি জমি বৃদ্ধ আবুর আলীকে নিরানব্বই বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেন তৎকালীন উপজেলা প্রশাসন। সে মোতাবেক সখিপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আবুর আলীকে বন্দোবস্তের দলিল করে দেয়া হয়। দলিল নং-১৯৩৭। সেসময় বন্দোবস্ত দেয়ার পরপরই বৃদ্ধ আবুর আলীর ওই এক একর জমি জবর দখল করে নেন দক্ষিণ পারুলিয়ার ছামছদ্দীন মোল্যার ছেলে ইয়াদ্বীন মোল্যা। জবরদখল পরবর্তী ইয়াদ্বীন মোল্যা ওই জমিতে মাছের ঘের শুরু করে। অপরদিকে বন্দোবস্তের জমি পুনরূদ্ধারের জন্য গেল ১২টি বছর দ্বারে-দ্বারে ঘুরছিলেন অসহায় আবুর আলী ও তার পরিবার। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে মানবিক নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর। শেষমেষ তারই নির্দেশে শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাপ-জরিপ ও সীমানা নির্ধারণ শেষে বন্দোবস্তকৃত জমিটি প্রকৃত মালিক আবুর আলীর পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এমন পদক্ষেপে উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে সকল শ্রেনি-পেশার মানুষ।