স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীকে বদলী করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার উপসচিব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপনে একই সাথে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) নিয়োগ পূর্বক বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন সচিবালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ৩৩তম বিসিএস’র একজন অফিসার। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন তিনি। দেবহাটাতে কর্মরত থাকাকালে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি দূর্নীতি প্রতিরোধ ও জনকল্যাণ মূলোক কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। একের পর এক আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের। রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রকে আধুনিকায়ণ ও এর সৌন্দর্যবর্ধণও অনেকটাই এসেছে তার মাধ্যমে। সাম্প্রতিক সময়ে নদী ভাঙনের কবল থেকে উপজেলার ভূপৃষ্ঠ রক্ষায় বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণী ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং উত্তোলিত বালু নদীর ভাঙনকবলিত ভেড়িবাঁধ ও সরকারী কার্পেটিং রাস্তার ওপর পাহাড় সাদৃশ্যভাবে মজুদ করে বিক্রি বন্ধেও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি জমি, খাল দখলমুক্তসহ ভুলবশত ব্যাক্তিনামে রেকর্ড হওয়া পারুলিয়া মৌজার কালীতলা নামক ১৩ একর সরকারি জমি পুনরুদ্ধারেও মামলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। বদলির আদেশ সম্পর্কে খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, সরকারি চাকুরিতে বদলির বিষয়টি খুব বেশি আশ্চর্য্যের কিছু নয়। তবে সংক্ষিপ্ত কর্মকালে দেবহাটার সকল শ্রেনি-পেশার মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কর্মরত থাকাবস্তায় সকলের সহযোগিতা পেয়েছি, সেজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারসহ রাস্ট্রীয় ও জনস্বার্থে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তার কিছু অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আশাকরি নির্বাহী অফিসার হিসেবে পরবর্তীতে যিনি আসছেন, তিনি এসকল উদ্যোগ বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবিরের দৃষ্টি আকর্ষনও করেন তিনি।