ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা :
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন,আমি প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে দেশে মামলার জট কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলার জট কমেছে। ঢাকাতে মামলা নিস্পত্তির হার ২ শ’ ৪৫ ভাগ। আর গাজীপুরে ১শ’ ৬৩ ভাগ।দেশের ২৯টি জেলায় মামলা ফাইলিংয়ের চেয়ে নিস্পত্তির হার বেড়েছে। এছাড়া বিচারকদের আন্তরিকতায় উচ্চতর আদালতেও মামলা নিস্পত্তির হার বেড়েছে।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য সাতক্ষীরা আদালতে স্থাপিত ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন শেষে একথা বলেন। পরে তিনি সাতক্ষীরা বার মিলনায়তনে আইনজীবীদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে তার সম্মানে দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
উল্লেখ্য,তিনি ১৯৭৪ সালে তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে পড়ালেখা করতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষক মিলনাতয়নে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি , জবাবে বলব, সাতক্ষীরায় কাটানো দিনগুলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ।
এ সময় প্রধান বিচারপতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম আমি। সে সময়ে ক্লাসের ফাঁকে কলেজের লেকে যেয়ে বসে থাকা,বরই খেতে খেতে বন্ধুদের সাথে গল্প করা এগুলো সবই ছিল আমার জীবনের রঙিন ইতিহাস। সাতক্ষীরা আমার জন্মস্থান না হলেও জীবনের রঙিন সময় গুলো এখানে পার করেছি। আমি প্রধান বিচারপতি একদিনে হইনি। এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অমলিন হয়ে থাকবে চিরকাল।
সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি তার শিক্ষক অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আব্দুল ওদুদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তার বাসাতে যান। পরবর্তীতে তাকে সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে আসেন প্রধান বিচারপতি।
পরে তিনি কলেজ মাঠে একটি নারকেল গাছের চারা রোপন করেন।
এসময় প্রধান বিচারপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিচারপতির কাছের বন্ধু ও শিক্ষকগণ।
২১.০৩.২৩