নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ট্রাক্টর ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক (রেজিঃ নং-৭৬৪) ইউনিয়নের (নারিকেলতলা) একাংশের ডাকা ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের নিউমার্কেট এলাকায় উক্ত সাধারণ সভাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের পূর্বে গঠিত কমিটির আহবায়ক মো. খবীর উদ্দীন এর নেতৃত্বে এক সভা করেছে বলে জানা গেছে।
সভায় জেলা শ্রমিক দলের অন্তর্ভুক্ত ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, নারিকেলতলা ট্রাক ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন, সাতক্ষীরা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, কালিগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন,মৎস্য শ্রমিক ইউনিয়ন,ফার্নিচার ও রং শ্রমিক ইউনিয়ন, ভিআইপি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নসহ ৭ টি শ্রমিক শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। উক্ত সভা থেকে আজ বুধবার মজনু সরদারের ডাকা সাধারণ সভাকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। যে কারনে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর সকল শ্রমিকদের সম্মতিতে বিগত কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব এনে সবর্সম্মতিতে গঠনতন্ত্রের ৩২/৬ ধারা মোতাবেক মো. খবির উদ্দীনকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও শ্রমিকদের সম্মতিতে নির্বাচনের লক্ষ্যে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আব্দুস সামাদকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন এবং আগামী ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে সংগঠনের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের দিন ধায্য করা হয়।
কিন্ত গত ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্য মজনুর সরদার সংগঠনের নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও একজন সদস্যের সহিত চরম দূর্ব্যবহার পূর্বক ইউনিয়নের ঘরের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক দখল করে সংগঠনের আহবায়ক ঘোষনা করে।
এ বিষয়ে গত ৩০ আগস্ট গঠিত কমিটির আহবায়ক মো. খবির উদ্দীন জানান, অত্র এলাকায় বর্তমানে চিহ্নিত কতিপয় সন্ত্রাসী কিছু অত্র ইউনিয়নের সদস্য ও কিছু বহিরাগতদের নিয়ে মজনু ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন দখল করে অবৈধ সাধারণ সভা ডেকেছে আমরা তাদের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিহত করবো।
এ বিষয়ে মজনু সরদার জানান খবীর উদ্দীন আহবায়ক হয়ে নির্বাচন না দিয়ে চেয়ার দখল করে রাখার পায়তারা চালাচ্ছিল। তাই আমরা শ্রমিকরা কমিটি গঠন করে সাধারণ সভার প্রস্তুতি নিয়েছি। এব্যাপারে শ্রমিক ইউনিয়নের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ শ্রমিকরা।