ডেস্ক রিপোর্ট ঃ দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠেয় ফিলিস্তিনের নির্বাচন হঠাৎ করে বাতিল করে দেয়ার প্রতিবাদে গাজায় গত শুক্রবার থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
প্রায় তিন মাস আগে মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ২২ মে ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট এবং ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।খবর আনাদোলুর।
কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি গত শুক্রবার ফিলিস্তিনি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেয়া হলো।
ইসরাইল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের জনগণ ভোট দিতে পারবে না- এই অজুহাতে বাতিল হল করা হয়েছে ফিলিস্তিনের নির্বাচন।
ফিলিস্তিনের স্বশাসিত সরকারের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শুক্রবার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পরিকল্পিত সংসদ নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ইসরাইল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তারিখ স্থগিত রাখা হলো। পর্যবেক্ষকরা ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত’ হয়ে যাওয়াকে নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য করছেন।
নির্বাচন স্থগিত করার ঘোষণার প্রতিবাদে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।
মাহমুদ আব্বাসের নির্বাচন স্থগিত করার ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিমতীরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
শনিবারও পশ্চিমতীরের রামাল্লা শহরের আল-মানারা স্কয়ারে শত শত ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, তারা ফিলিস্তিনে একটি নির্বাচিত সরকার চান এবং জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য নির্ধার করতে চায়। এছাড়া, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন শহরেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
তাদের ধারনা, ইসরাইলের প্ররোচনায় হঠাৎ বন্ধ করা হয়েছে ফিলিস্তিনের এ নির্বাচন।কারণ ইহুদিবাদী দেশটির একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আবারও হামাস জয়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। আর এতেই ভীত হয়ে নির্বাচন বানচালে ওঠেপড়ে লেগে যায় ইসরাইল।
গাজা ও পশ্চিমতীরে অর্ধশতাধিক হামাস নেতাকর্মীকে বিনা কারণে আটক করে নিয়ে যায় ইসরাইলি সেনারা।ইসরাইলের এহেন কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কঠোর সমালোচনা শুরু করলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু করে ইহুদিবাদী দেশটি।
২০০৬ সালে সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বিজয়ী হয়েছিল এবং সংগঠনের নেতা ইসমাইল হানিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই সে পার্লামেন্ট বাতিল করে দেন মাহমুদ আব্বাস। তারপর থেকে ফিলিস্তিনে আর কোনো নির্বাচন হয়নি।