আবু সাঈদ সাতক্ষীরা : পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেজ্ঞের কাকঁড়ার পাস পারমিট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে বন বিভাগ। বন বিভাগের ঘোষনা থাকলেও লোকালয বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য ছোট কাঁকড়া বিক্রী হচ্ছে অবাধে। অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি না দেখার ভান করে চলেছে।অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যোগসাজশে সুন্দরবনের কাঁকড়া নিধনে নেমে পড়েছে প্রজেক্ট মালিকরা ও একদল অসাধু ব্যাবসায়ীরা। শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ি, হরিনগর, সুন্দরবন, মীরগাং, ভেটখালী, বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, চাঁদনীমুখাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার কয়রা, কাঠ কাটা, ঘড়িলাল, আংটিহারা, জোডশিং ও পাইকগাছা থেকে সড়ক ও নৌপথে প্রতিনিয়ত রাতে ৩-৪ হাজার কেজি বিক্রয় অযোগ্য ছোট কাঁকড় নিয়ে আসে অসাধু ব্যাবসায়ীরা। বুড়িগোয়ালিনীতে অবস্থিত দুই শতাধিক সফট সেল ফার্মে।বেশি লাভের আশায় জোট বেঁধে ছোট কাঁকড়া সংগ্রহ করেছেন একদল অসাধু ব্যাবসায়ী।ব্যাবসায়ীরা অধিক হারে ছোট কাঁকড়া ম্যানেজ করে দিয়ে প্রজেক্ট মালিকদের মন জয় করে। আদায় করে নিচ্ছে পালসার মটর সাইকেল, ফ্রিজ, টিভি এমন কি আলিশান বাড়িও। অতিরিক্ত লাভের আশায় প্রজেক্ট মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা অগ্রীম নিচ্ছে ঐ অসাধু ব্যাবসায়ীরা। তারা স্থানীয় জেলেদের কে অগ্রীম অর্থ (দাদন )দিয়ে সুন্দরবনে ছোট কাঁকড়া ধরতে পাঠায়।আর ঐ কাঁকড়া অধিক দামে ক্রয় বিক্রয় এর কারণে অতিরিক্ত লাভের আশায় ছোট কাঁকড়া আহরণ কারীরা মোটা অংকের অর্থের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। ছোট কাঁকড়া ক্রয় ও বিক্রয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বারবার অবগত করানো হলেও কোনরকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বড় কাঁকড়া ব্যবসায়ী বলেন, ছোট কাকড়ার চাহিদা বেশি হওয়ায় আমরা বড় কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা মারাত্মক হুমকির মধ্যে আছি। সুন্দরবনে দেখা দিয়েছে বড় কাঁকড়ার অভাব। দিনে দিনে কমতে শুরু করেছে নদীর কাঁকড়া। সারাদিনে যে বড় কাঁকড়া হয় তা বিক্রি করে ঠিকমতো সংসার চালাতে পারছি না। অতিরিক্ত লাভের আশায় ছোট কাঁকড়া আহরণ কারীরা এক প্রকার আসক্ত হয়ে পড়েছেন।পরিবেশবিদ মোহন কুমার মন্ডল বলেন,সুন্দরবন থেকে ছোট কাঁকড়া ধরা বন্ধ না করলে কাঁকড়া প্রাণী শূন্য হয়ে পড়বে অচিরেই । হুমকির মুখে পড়বে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র। তাই সকল কে সুন্দরবন রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানাই।পশ্চিম সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন চৌধুরী জানান, ছোট কাঁকড়া ধরা বন্ধ করতে আমরা সব সময় তৎপর আছি। গত তিন মাস সুন্দরবনে কাকঁড়ার পাস পারমিশন বন্ধ ছিল। তবে ১লা সেপ্টেম্বর পাস দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার অবৈধ কাজের সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং ২ শত গ্রাম ওজনের পুরুষ কাকড়া ও ১৩০ গ্রাম ওজনের নিচে স্ত্রী কাকড়া ধরা নিষেধ।