নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সহকারি কামরুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্লিনিক ভাংচুর, ওষুধপত্র ছিনতাইকালে বাঁধা দেওয়ায় তাকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জড়িত বিল্লাল হোসেন নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত কামরুল ইসলাম (৩৬) তালা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ছেলে। সে যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারি হিসেবে দায়িত্বরত।
আটক বিল্লাল হোসেন যুগিপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তালা হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন জানান, যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত সিএইচসিপি হিসেবে ছিলেন সুবর্না বিশ্বাস। তিনি মাতৃকালীন ছুটিতে থাকায় তার পরিবর্তে স্বাস্থ্য সহকারি কামরুল ইসলাম সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ৪-৫ জন আতর্কিতভাবে ক্লিনিকে হামলা চালায়। ক্লিনিক ভাংচুর ও এষধপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্বাস্থ্য সহকারি কামরুল ইসলাম বাঁধা দিলে তাকে ধারালো রাম দা দিয়ে মাথায়, হাতে, বুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্বাস্থ্য সহকারি নাজমুল হুদা জানান, ইতিপূর্বে বিল্লাল হোসেন নামের ছেলেটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি সুবর্না বিশ্বাসকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে পৃথক সময়ে দুটি সাধারণ ডায়েরীও করেছেন সুবর্না বিশ্বাস। আজ একজনকে কুপিয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছি।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় জড়িত বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##
পূর্ববর্তী পোস্ট