স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পারুলিয়া সাগর সাহ (এসএস) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় নিয়োগ বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক পদে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৪জন প্রার্থীর কেউই ৪০ শতাংশ নম্বর না পাওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে নিয়োগ বোর্ড। ফলে মৌখিক পরীক্ষাতে আর অংশগ্রহণই করতে পারেনি প্রার্থীরা।
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে নিয়োগ বোর্ডের উপস্থিতিতে পারুলিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের দো-তলায় লিখিত পরীক্ষায় বসেন এ পদে আবেদনকারী ৪ প্রার্থী যথাক্রমে এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, মাহমুদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ভাতশালা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা পারভীন ও টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। পরীক্ষার আগ মুহুর্তেই রুদ্ধকক্ষে পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। তবে টানা এক ঘন্টার লিখিত পরীক্ষায় পাশ মার্কস ৩২ তুলতে পারেনি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৪ জন শিক্ষকের কেউই। লিখিত পরীক্ষা শেষে ফলাফলে ৪ জন শিক্ষকই অকৃতকার্য হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রমটি স্থগিত করে দেয়া হয়।
নিয়োগ বোর্ডে জেলা প্রশাসক প্রতিনিধির দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) দীপা রানী সরকার বলেন, ‘নিয়োগ বিধি মোতাবেক যেসকল শিক্ষক লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ নম্বর পাবে তারাই পরবর্তীতে মৌখিক সহ অন্যান্য পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়। সেমোতাবেক ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় পাশ মার্কস হিসেবে পরীক্ষার্থীদের নুন্যতম ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৩২ নম্বর পেতে হতো। কিন্তু ৪জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাশ মার্কস না পাওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষাটি মাঝপথেই স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সহ পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
পারুলিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাঁধাগ্রস্থ করতে একটি চক্র নানামূখি অপপ্রচার চালানো সহ নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এমনকি পরীক্ষার আগেই অবৈধ অর্থ লেনদেন, প্রার্থী চুড়ান্ত ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিভ্রান্তিকর ও মনগড়া তথ্য সম্বলিত সংবাদও ইতোমধ্যেই কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু আমরা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি এবং নিয়োগ বোর্ড স্বচ্ছ প্রক্রিয়া পরীক্ষা সম্পন্ন সহ প্রকৃত মেধাতালিকায় উর্ত্তীর্নদের নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে বরাবরই দৃঢ় অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় বিধি মোতাবেক কোন শিক্ষক সন্তোষজনক নম্বর না পাওয়ায় শেষমেষ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে নিয়োগ বোর্ড ও ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের স্বচ্ছতা আবারও ফুঁটে উঠলো এবং ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত সকল অপপ্রচার মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
নিয়োগ পরীক্ষায় দেবহাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ও ডিজি প্রতিনিধি সাতক্ষীরা সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্যাহ আল মামুন সহ নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট