মাহফিজুল ইসলাম আককাজ ঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, মানবতার মা,
গনতন্ত্রের মানসকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার
৭৫তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-২ আসনের
সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বীর
মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তায় জননেত্রী শেখ হাসিনার
দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করে বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বাস করে যতদিন
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা মানেই
এখন নতুন এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি সুস্থ এবং
কর্মক্ষম থাকলে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা কখনও বন্ধ হবে না। রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয়েছেন। মাদার অব
হিউমিনিটি খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।
১৯৪৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ঘর আলো করে
টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান। তিনি পরিবারের সবাইকে
হারিয়ে বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা
আমাদের আশার বাতিঘর।
জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ভীকভাবে এবং নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে দেশ ও
মানুষের খেদমত করে চলেছেন। তিনি ক্ষমতায় এসে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে যেমন
মনোযোগী হয়েছেন, তেমনি মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও অবদান রেখেছেন। দেশের
ভেতরে শান্তি ও স্থিতি রক্ষার পাশাপাশি তিনি সামাজিক নিরাপত্তাবলয় তৈরি
করে অসহায় মানুষদের জীবনের অনিশ্চয়তা দূর করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ তারই
উপহার। তিনি ক্ষমতায় এসে দেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়েছেন, তার সময়
মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে, বৈদেশিক
মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো বড় প্রকল্প
বাস্তবায়নের দৃঢ়তা দেখিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় ভিন্ন মর্যাদায় আসীন করার
কৃতিত্ব একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনারই। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০
সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সাল নাগাদ
উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ ও ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথা ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০
বাস্তবায়নের আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে
যাচ্ছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক আদালতে মায়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র সীমা
জয়, ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে দীর্ঘ অপেক্ষার ইতিটানা, প্রথমবারের মতো
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রেরণ করা, বহি-বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের
সক্ষমতার জানান দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরির সাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী উদ্যোগ,
ঢাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ,
চট্টগ্রামে নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, বিদ্যুতের উৎপাদন
বাড়াতে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, জিজিটাল বাংলাদেশ
বিনির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী( বয়স্ক ভাতা,
বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাসহ অন্যান্য
ভাতা), খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জননেত্রী
শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে মহান আল্লাহর
রহমতে শত আয়ু লাভ করুক মহীয়সি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।