অনলাইন ডেস্ক ঃ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলার এবার স্থল আক্রমণ শুরু করেছে ইসরাইল। দেশটির বিমান ও স্থল বাহিনী বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর এই আক্রমণ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ‘অপারেশন গার্ডিয়ানস অব দ্য ওয়াল’ নামের এই সশস্ত্র অভিযানে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাত শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ড্রোনও ব্যবহার করছে ইসরাইল।
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, গত চারদিনে ফিলিস্তিনে যত হামলা চালানো হয়েছে তার ৯৫ শতাংশই ছিল আকাশপথে। এতে হামাসের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে কয়েক বছর লেগে যাবে বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার সকালেই স্থল হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। রাত থেকে সেই হামলা শুরু হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার গাজা সীমান্তে ইসরায়েল বিপুল পরিমাণ সেনা ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করার খবর পাওয়া যায়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলের দুটি পদাতিক ইউনিট এবং একটি সাঁজোয়া ইউনিট অবস্থান করছে। এছাড়া আরও সাত হাজার সেনা রিজার্ভ রাখতে বলা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ তাদের সেনাবাহিনীকে শক্তি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যেকোনো সময় স্থল হামলা শুরু হতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদারদের হামলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে। এর মধ্যে ২৮ শিশুও রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের দিনও ফিলিস্তিনে বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি ইসরাইলিরা। তাদের হামলায় অন্তত ৫৮০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
দখলদারদের এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীরেও। সাফা প্রেস এজেন্সি প্রকাশিত ভিডিওতে নাবলুস এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে জেনিন, হেব্রন, তুলকারিম, কালকিলিয়া এলাকাতেও।