সাতক্ষীরা ট্রিবিউন রিপোট: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মাহমুদপুর ১১৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে একই স্কুলের মাহামুদপুর গ্রামের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিলে কান্না জড়িত কন্ঠে ওই দুই শিশু শিক্ষার্থী পৃথকভাবে জানায়, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একজন ছাত্রী রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে সুবিধামত সময়ে অন্যান্য সহকারি শিক্ষকরা সেখানে না থাকায় ওই প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীর নিকট থেকে খাতা জমা নেওয়ার কথা বলে তার গায়ে হাত দিয়েছে বলে জানান ঐ শিশু শিক্ষার্থী।
অপরদিকে একই সময়ে তার সাথে থাকা ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে ওই প্রধান শিক্ষক ডেকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গায়ে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানি করে এবং তাকে টাকা দিয়ে খুশি করে এঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলেন প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র।
আরো জানা যায়, ১৭ মার্চ স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরেই তারা দুইজনই পৃথকভাবে অভিভাবককে জানালে ওই দিনই অভিভাবকগন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ ) দুপুর ১২ টার দিকে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মাহমুদপুর স্কুলে সরেজমিনে তদন্তে যান সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শোভা রায় ও রবিশংকর দেওয়ান। সেখানে তাৎক্ষণিক ওই দুই ছাত্রী ও তাদের সহপাঠীদের ডেকে এনে তাদের নিকট থেকে আলাদা ভাবে তাদের স্বহস্তে ঘটনার বিবরণ লিখিত নিলেও ভিকটিমদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা সে লিখিত কাগজগুলি ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
প্রাথমিক কর্মকর্তাগন আরো বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তথ্য জানার জন্য আমরা এখানে এসেছি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবার আলী বিশ্বাস, অন্যান্য সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।
অভিভাবকগণ এই ঘটনার বিরুদ্ধে স্কুল ক্যাম্পাসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং দাবি করেন, প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্রকে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার করতে হবে। অভিভাবকগণ আরো বলেন, এই প্রধান শিক্ষক ইতিপূর্বেও অনেকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। অর্থের বিনিময়ে তিনি বারবার পার পেয়ে যান।
প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই ঘটনার কোন সত্যতা নাই। আমি তাদের প্রতিযোগিতার খাতা নিচ্ছিলাম। সে সময়ে হয়তো তাদের গায়ে বা ওড়নায় হাত লাগতে পারে।