ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা : উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড় মিধিলে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সাতক্ষীরায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এর সাথে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। উপকুলীয় এলাকার নদনদীর পানি
স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ ভাঙন আতংকে রয়েছেন উপকুলবাসী। উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষের সচতেন করতে লাল পতাকা উড়ানোসহ মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় ইতিমধ্যে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা
কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহম্মাদ হুমায়ুন কবির জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ১৪৬টি জেলার মোট ২৭০টি
আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া বিভিন্ন দ্বিতল মসজিদ, পাকা স্থাপনাসহ সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেড়িবাধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে
সংস্কারসহ পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫ হাজার সিপিপি ও ভলেন্টিয়ারদের। একই সাথে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া দূর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত
শুকনো খাবার, ত্রানের চাউল ও নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরায় প্রায় ৭’শ ৮০ কি: মি: বেড়িবাঁধ
রয়েছে। ষাটের দশকে নির্মিত এসব বেঁড়িবাধের অধিকাংশ জরাজীর্ণ। উপকুলীয় এলাকার নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এসব বেঁড়িবাধ ভাঙন আতংকে রয়েছেন উপকুলবাসী।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন
জানান, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড় মিধিলে পরিণত হয়েছে। এটি আজ সন্ধ্যার পর
মোংলা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকুল অতিক্রম করতে পারে। সাগরে থাকা সকল মাছধরা নৌকা ও ট্রলার গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর গুলোকে ৬ থেকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে সাতক্ষীরা অঞ্চলে গতকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া অব্যাহত
রয়েছে। তবে, বৃষ্টির পরিমাণ আরো একটু বাড়তে পারে। তিনি আরো জানান,উপকুলীয় অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি আরো একদিন অব্যাহত থাকবে।