নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নে উত্তর দেবনগর এলাকায় রাস্তার সরকারি বেশ কিছু গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ১৩ ও ১৪ই ই মার্চ রবিবার ও সোমবার ঘটে।
এ বিষয় জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ জানতে পারার আগেই কাঠগুলো অনাত্র সরিয়ে নিয়েগেছে ওবায়দুর রহমান লাল্টু ও ধুলিহর এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী সালাম ও স্বপন।
সংবাদ কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যেয়ে দেখে ৮ থেকে ১০ টি বোড সিরিজসহ অন্যান্য গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অল্প কিছু গাছের গুল পড়ে রয়েছে ঐ এলাকা আদিত্যের দোকানের সামনে। বাকি কাঠ ১৩/৩/২২ ইংরেজী তারিখে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে জনপ্রতিনিধিসহ তার লোকজন গাছ কাটার পরও এখনো কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ।
এদিকে লাবসা ইউনিয়নের উত্তর দেবনগর এলাকার আদিত্যের দোকানের সামনে হতে গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে আদিত্যের দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া রেজাউল জানান, জেলা পরিষদ সদস্য লাল্টু গাছ কেটে জেলা পরিষদে নিয়ে গেছে। কিন্তু জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ জানান কোন গাছ পরিষদে নিয়ে আসেনি লাল্টু ।
ফজলু রহমান জানান আদিত্য ২ বছর যাবত দোকানের সামনে হইতে গাছ কাটার জন্য জেলা পরিষদে আবেদন নিয়ে দৌড়া দৌড়ি করে এটা আমরা জানি। এদিকে আখড়াখোলা এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান লাল্টু ৮ থেকে ১০ টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে যার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। গাছের গোড়া মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে। তিনি আটো বলেন কাঠ ব্যবসায়ী স্বপন ও সালাম ও লাল্টু যোগ সাজোসে এর আগেও কাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ ছিলো। তারা আবারও সরকারি গাছ কেটে বিক্রয় করলো।
আরো অনেকে বলেন, “সরকারি ও দেশের সম্পদ জনপ্রতিনিধি রক্ষা করবে কিন্তু তা না করে তারাই ভক্ষণ করছে। আমরা চাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হোক এবং গাছ যারা কেটেছে তাদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক। শাস্তি দেখে আর যেন কেউ এরকম কাজ করার সাহস না পায়।”
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু গাছ কাটার বিষয় অস্বীকার করে জানান , বিদ্যুৎ লাইনের লোক আসছিলো তারা কেটেছে। গাছের গোড়াসহ কিভাবে কাটলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুকনো গাছ ছিলো। আমি দায়িত্বে ছিলাম তাই গিয়েছিলাম।
এবিষয় কাঠ ব্যবসায়ী সালাম ও স্বপনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।