নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচনে বিজয় পরবর্তী শপথ গ্রহনের আগেই জনদূর্ভোগ নিরসণে জরাজীর্ন কুলিয়া নতুন বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদগামী কার্পেটিং সড়কটি সংষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আছাদুল হক।
দীর্ঘদিন ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি জরাজীর্ণ ও প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছিল। গ্রীষ্ম মৌসুমে ছোট বড় গর্ত ও ধুলাবালি; আর বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে হাটুজল জমতো ওই সড়কটিতে। ফলে সড়কটি হয়ে কোমরপুর, শাঁখরা, হাড়দ্দাহ ও ভোমরায় যাতায়াতকারী মানুষদের দূর্ভোগ-দূর্দশার কমতি ছিলনা। এমনকি কুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নাগরিক সেবা নিতে ইউনিয়ণ পরিষদে যেতেও পড়তেন বিড়ম্বনায়।
জনদূর্ভোগে ব্যথিত হয়ে ‘নির্বাচনে জয়ী হলে শপথ নেয়ার আগেই ওই জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামত করা হবে’ বলে ভোটের আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত ও ছয় বারের চেয়ারম্যান আছাদুল হক।
গত ২৮ নভেম্বর স্বতষ্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আছাদুল হককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন কুলিয়ার সর্বস্তরের মানুষ। আর আছাদুল হকও জনগণকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিজয় পরবর্তী শপথ নেয়ার আগেই ওই সড়কটি সংষ্কারের মধ্যদিয়ে শুরু করেছেন তার প্রথম উন্নয়ন কাজ। শুধু সড়ক সংষ্কার নয়, নতুনত্য আনতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনেও রংচং ও নতুন আসবাবপত্র সংযোজনের পাশাপাশি এগিয়ে চলছে আধুনিকায়নের কাজ। এতে করে একদিকে খুশি হয়েছেন দীর্ঘদিনের জনদূর্ভোগে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, এবং অপরদিকে প্রানচাঞ্চল্য ফিরেছে স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সকলের মনে।
আছাদুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কুলিয়া নতুন বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদগামী সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকলেও পূর্বের চেয়ারম্যান-মেম্বররা জনদূর্ভোগ নিরসণের উদ্যোগ না নেয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল। ভোটের আগে আমি মানুষকে ওই সড়কটি দ্রুত সংষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তাই নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই বাজেটের অপেক্ষায় বসে না থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সাথে আলোচনা করে জনদূর্ভোগ নিরসণে সড়কটি সংষ্কারের কাজ শুরু করেছি। আগামীতেও কুলিয়া ইউনিয়নে এধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট