নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল
মাদ্রাসার চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক খায়রুল ইসলামের চুড়ান্ত বরখাস্ত পূর্বক
শান্তির দাবীতে বিক্ষোভ ও অভিযোগ দাখিল করেছে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি)
বেলা সাড়ে ১১টায় মানিকহার দ্বিমুখী দদাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফজলুর
রহমান’র নিকট চুড়ান্ত বরখাস্ত পূর্বক শান্তির দাবীতে অভিযোগ দাখিল করেছে
মাদ্রাসার অভিভাবকরা। অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল
মাদ্রাসার চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক খায়রুল ইসলাম’র প্রথম স্ত্রী থাকা
সত্বেও পাইভেট পড়ানোর সুবাধে ঐ মাদ্রাসা পড়ুয়া ১০ম শ্রেণির ছাত্রী
শান্তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে ২১/১১/২০২১ তারিখে ১০ম
শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা পড়ুয়া নাবালিকা ঐ ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং
দেড় মাস আত্মগোপনে চলে যায় মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। পরে ঐ লম্পট
শিক্ষক খায়রুল এ নাবালিকা ছাত্রীকে বিবাহ করেছে বলে সকলের কাছে শিকার
করে। ঐ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় নাবালিকা ঐ শিক্ষার্থীর
পিতা আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাটকেলঘাটা থানায় সাধারণ
ডায়েরী ও অভিযোগ করে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে
মিমাংসার নাম করে ১ম স্ত্রী তামান্না ইসলাম তানিয়াকে ঘর সংসার করার
লক্ষ্যে সুচতুর চরিত্রহীন লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইসলাম তানিয়াকে
বাড়ি নিয়ে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। গত ৭/৯/২০১২ সালে তানিয়ার
প্রথম বাচ্চা নষ্ট করে। এর পরেও দ্বিতীয় বাচ্চাও নষ্ট করেছে ঐ লম্পট
খায়রুল। ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম নির্যাতনের শিকার
তানিয়াকে একবার স্বামী বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার পিতার হাতে তুলে
দিয়েছিল। এঘটনায় কলারোয়া থানার বাটরা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের কন্যা
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোছা : তামান্না ইয়াসমিন নিজেই বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী ০৪
নং আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় সিআর ৩২১/২১ মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনায় ২৫/১২/২১ তারিখে মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও
অভিভাবকরা স্থায়ী বহিস্কার ও দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তি দাবী করে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে। পরের দিন সাতক্ষীরার বিভিন্ন
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার চরিত্রহীন
লম্পট শিক্ষক খায়রুল ইসলাম এখনও ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছে এবং প্রতিদিন
মাদ্রাসায় অবস্থান করছে। যে কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের নিরাপত্তার
কথা বিবেচনা করে তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাতে চাইছেনা। ঐ মাদ্রাসার
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ইব্রাহীম, আব্দুল ওহাব মোড়ল, মাজহারুল ইসলাম, মো.
জসিম, মাছুরা খাতুনসহ শতাধিক অভিভাবকবৃন্দ মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ
ফিরিয়ে আনতে ও সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল
মাদ্রাসার চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক খায়রুল ইসলামের চুড়ান্ত বরখাস্ত পূর্বক
শান্তির দাবীতে বিক্ষোভ করে ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল
করেছে। এঘটনায় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ফজলুর রহমান অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে
বাঁচাতে সাংবাদিকদের তথ্য দিতেও অপরাগতা প্রকাশ করাসহ বিভিন্ন কৌশল
অবলম্বন করে যাচ্ছে। যে কারণে ভূক্তভোগীরা সঠিক বিচার পেতে বিলম্ব ও
হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে মানিকহার দ্বিমুখী
দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ মাদ্রাসা থেকে লম্পট খায়রুল
ইসলামকে চুড়ান্ত বহিস্কার ও দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের
আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট