শ্যামনগর প্রতিনিধি ঃ
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের হিন্দু পল্লীতে ২টি মন্দিরের প্রতিমা ও ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, জখম ও অগ্নি সংযোগ মামলায় ৩ নং আসামী আলিম বাহিনীর প্রধান আলিম গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদার নির্দেশে শুক্রবার রাত ১২ টায় ৩০ মিনিটে বংশিপুর বরফ কলের পাশ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপনের নেতৃত্বে আলিম বাহিনীর প্রধান আলিম গাজীকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেফতার কৃত আসামী হলেন শ্যামনগর উপজেলার বংশিপুর গ্রামের বাক্কার গাজীর পুত্র আলিম গাজী (৩১)। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আলিমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলতলায় দূর্বিত্তদের হামলায় রাস মন্দির, শীতলা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর, সুভাষ বাউলিয়া ও নগেন্দ্র নাথ বাউলিয়ার ঘর ভাংচুর ও লুটপাট, মারপিঠের ঘটনায় আহত হয় ১২ জন।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলীসহ মুনসুর সরদারের গ্যারেজ ও ঈশ্বরীপুর এলাকার সন্ত্রাসী আলিম গাজী, আলিম মোড়ল, , ইউছুফ গাজী, আলম গাজী, আয়জুল, খোকন, মিলন, ইয়াকুব, সাইদুলসহ বেশকিছু সন্ত্রাসী বৈদ্যুতিক তার বিচ্ছিন্ন করে শীতলা মন্দির ও রাস মন্দির এর প্রতিমা ভাঙচুর করে। বাধা দেওয়ায় সুভাষ বাউলিয়া ও নগেন নাথ বাউলিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোটর সাইকেল, ল্যাপটপ, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সুভাষ বাউলিয়ার দু’ মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়।
পিটিয়ে জখম করা হয় নগেন্দ্র বাউলিয়া (৬০), সুভাষ বাউলিয়া (৪২), গোবিন্দ বাউলিয়া (৪০), যতীন বাউলিয়া (৩৮), মিলন বাউলিয়া (২০), নিত্যানন্দ বাউলিয়া (১৮), মমতা বাউলিয়া (২৫) ও তপন বাউলিয়া (৪৮) সহ ১২ জনকে। রাতেই তারা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।