সদর প্রতিনিধি ঃ সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করায় শিক্ষক সাপ্তাহিক জনতার মিছিল পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সদর উপজেলা প্রতিনিধি এস এম শাহীন আলমদের নামে মিথ্যা মামলা ও জীবননাশের হুমুক দিয়েছে নারীলোভী প্রতারক চরিত্রহীন শাহরিয়া হোসেন। একাধিক পত্রিকায় গতকাল নারী লোভী শাহরিয়ার ক্ষপ্পরে দিশেহারা একাধিক নারী সংবাদটি বিভিন্ন পত্রিকাসহ অনলাইনে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের জেদ ধরে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন ও এস এম শাহীন আলমের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে শাহীন আলম ও জাহাঙ্গীর সাতক্ষীরা সদর থানায় বাদী হয়ে বল্লী ইউনিয়নে এগারানী গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের পুত্র শাহরিয়া হোসেনের নামে ১৪/০৩/২০২১ তারিখে সদর থানায় পৃথক পৃথক সাধারন ডায়রী করে। ডায়রী নং ৮৮৫, ৮৮২। ডায়রী সূত্রে জানা যায় ১৪ই মার্চ ২০২১ তারিখে দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকাসহ একাধিক দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ায় একাধিক নারী লোভী ক্ষীপ্ত হয়ে ১৪/০৩/২০২১ তারিখে সকাল ১০.৩৬ ও ১০.৪০ ঘটিকায় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতী খুন-জখম করার হুমকি দেয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে,হাত-পা ভেঙ্গে দিবে,সাংবাদিকতা করার স্বাদ মিটিয়ে দেবে,রাস্তায় ফাঁকা পেলে তাদের মটরসাইকেল কেড়ে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে গতকাল নারী লোভী শাহরিয়ার স্ত্রী উম্মে কুলসুমের কাছে পত্রিকার নিউজ ও লম্পট শাহরিয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার প্রথমে ৩-৪ মাসের বাচ্চা নষ্ট করেছে। বর্তমানে আমার গর্ভে আবারও ৪ মাস বয়সী একটি সন্তান আছে। আমার প্রায় সময় শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে, বলে তোর বাপের বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আয় তা না হলে তোকে তালাক দেবো। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী একজন লম্পট চরিত্রহীন সে একাধিক মেয়েদের সাথে নিজে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আর বলে আমার একাধিক মৎস্য ঘের আছে, আমি ইনপুটের একজন বড় ব্যবসাদার, আমার গাড়ি বা একতালা বিশিষ্ট ভবন আছে, আমার আত্মীয় স্বজন প্রশাসনের বড় বড় পদে চাকরি করে, ডিসি,এসপি আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করে। খুলনা বিভাগে এমন কোনো মাদারিপো নেই যে, আমার কেউ কিছু করতে পারবে। এসব কিছুর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সুন্দরী মেয়ে ও বউদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি তার ঘরের বউ থাকা শর্তে ও গভীর রাতে আমার পাশ থেকে উঠে বাইরে চলে যায়। বিভিন্ন মেয়েদের সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক। তাকে কিছু বলতে গেলে আমাকে বলে তুইও প্রেম কর আর কথায় কথায় মারপিট করে। । স্বামীর অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ ও সাঃ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে ২০০৩ এর ১১(গ) ধারা মতে মামলা দায়ের করি মামলা নং ১৬৩/২১। শুধু তাই নয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী মেয়ে দেখলে প্রেমের ফাঁদে ফেলানোর চেষ্টা করে। কলারোয়া এলাকার পপি নামে একটি মেয়ের সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি বলে আমার নিকট থেকে ১৭ হাজার টাকা নিয়েছে। ফেরত চাইলে বলে আমার সাথে বিয়ে করতে হবে। শুধু এই নয় ফিংড়ী ইউনিয়নের এক স্কুল শিক্ষিকার সাথেও দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক আছে, স্কুল শিক্ষিকার খালাতো বোন আশাশুনি উপজেলার শোভনালী গ্রামের মুক্তা নামে মেয়েটির সাথে ও সম্পর্ক আছে। লম্পটের বাড়ির পাশে আনারুলের স্ত্রী পারভীনের সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের অবৈধ সম্পর্ক আছে প্রায় সময় তার মটরসাইকেলে উঠে, স্ত্রীর মতো ঘাড় জড়িয়ে শহরের বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বাড়ির পাশে আব্দুল মান্নান বিদেশ থাকায় সেই সুযোগে তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। শিবনগরে স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগ নিয়ে ভাবির সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ বিষয় ভুক্তভোগী অসহায় উম্মে কুলসুম প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।