ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার ঝুটিতলায় আত্মহত্যার চেষ্টা করা স্ত্রী রুপা খাতুনকে বাচিয়ে নিজে আত্মহত্যা করেছেন সোহেল রানা (২৫) নামের এক যুবক। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রুপা খাতুন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
সোহেলরানা একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি শ্যামনগরের খুটিকাটা গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার ঝুটিতলা এলাকায় বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।
সোহেলরানার প্রতিবেশি কাঞ্চন রহমান বলেন, সোহেল-রুপা দম্পত্তির মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। সোমবার দূপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে নিকটবর্তী এলাকায় বেড়াতে যান সোহেল। আধা ঘন্টা পর বাড়িতে এসে স্ত্রী রুপা খাতুনকে ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান তিনি। তৎক্ষনাৎ স্ত্রীকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেওয়া হয়। অচেতন স্ত্রী মারা গেছে ভেবে সোহেল রানা একই ফ্যানে গলায় দড়ি দেন। প্রতিবেশিরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পৌছে দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বামী সোহেলরানাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অচেতন অবস্থায় রুপা খাতুনকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে।
রুপা খাতুনের মা মঞ্জুয়ারা খাতুন জানান,‘‘আমার মেয়ে রুপা খাতুনের জ্ঞান ফিরেছে। সে অপেক্ষাকৃত ভালো আছে। ’’ জামাই সোহেলের মৃত্যুতে দু:খ প্রকাশ করেন শ^াশুড়ি মঞ্জুয়ারা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান,‘‘সোহেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ’’ এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।