নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর এলাকা থেকে নিজাম উদ্দিন সরদার নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোর রাত ২ টার দিকে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের রাস্তার উপর থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে, পরকিয়ার জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
নিহত নিজাম উদ্দিন সরদার (৫৫) উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন, দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী কথিত পরকিয়া প্রেমিকা তহমিনা বেগম (৩৮), তার পুত্র সুমন (২১), ভাসুর আব্দুল মাজেদ (৫০) ও মাজেদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০)।
নিহতের ছেলে গোলাম রসুল জানান, তার পিতার কাজিরহাট বাজারে একটি মুদি, বিকাশ ও ফ্লাক্সি লোডের দোকান রয়েছে। তাদের দোকান বন্ধ করে প্রতিদিনের ন্যায় আনুমানিক ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। টাকাগুলো কেড়ে নেয়ার জন্য তার বাবাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি ধারনা করছেন।
তবে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীন ও দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। রাতে পরকিয়া প্রেমিক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন তার বাড়িতে গেলে তহমিনা বেগমর ছেলে সুমন ও তার ভাই আব্দুল মাজেদ ও মমিনুলসহ কয়েকজন তাকে আটকের পর চড় থাপ্পড় দিলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। দৌঁড়াতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে তিনি মারা যান।
আটক মাজেদের কন্যা সাবিনা খাতুন জানান, রাতে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যান। বাবা-ভাইয়েরা তাকে (নিজাম উদ্দীন) পানি থেকে তুললে দেখেন তিনি মারা গেছেন।
কলারোয়া থানার ওসি (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী ও ইউপি মেম্বারের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত মুদি ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় গোয়ালচাতর গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনা বেগমসহ ৪ জনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তহমিনা বেগমের সাথে পরকিয়া ছিল নিজাম উদ্দিনের। মোবাইলে ওই রাতের ফোন কলে তহমিনার নাম্বার ডায়াল কলে পাওয়া গেছে। সম্ভবত তিনি তহমিনাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে যান। এ সময় তহমিনার ছেলে সুমন, ভাসুর আব্দুল মাজেদ ও মমিনুর তাকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে দৌড়ে পালানোর সময় কোন কিছুতে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।##