আক্তারুল ইসলাম সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার শার্শা গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছে উঠেছে মলম পার্টির অত্যাচারে। প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো বাড়িতে হানা দিচ্ছে তারা। লুট করে নিয়ে যাচ্ছে নগদ টাকা ও সোনা গহনা। আর এ বাহিনীর হোতা ওই গ্রামের ইব্রাহীম শেখের ছেলে আলতাফ শেখ এমনটায় জানালেন এলকাবাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ।এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর রাতে মৃত সুরোত শেখের ছেলে নওশের শেখ (৭০)’র বাড়িতে হানা দেয় মলমপার্টির সদস্যরা। রাতের খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয় তারা। সে খাবার খেয়ে সকলে অচেতন হয়ে পড়লে ঘর থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও সোনার গহনা এবং তার ছেলে শাহিন শেখ (২৬)’র ঘর থেকে ২৯ হাজার নগদ টাকা, ১টি মোবাইলসহ দেড়লক্ষ টাকার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এবিষয়ে পাটকেলঘাটা থানায় শাহিন বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।এসময় শাহিন বলেন, রাতে খাবার খেয়ে ঘুমানোর পরে আমাদের প্রতিবেশী আলতাফ ও তার সঙ্গীরা আমাদের ঘরে ঢুকে নগদ ৮৯ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার সোনার গহনা ও ১ টি মোবাইল সেট নিয়ে পালানোর সময় আলতাফের পরিহিত গেজ্ঞির কলার ধরে ফেলি ও তাকে চিনতে পারি। খাদ্যের সাথে বিষক্ত কিছু খাওয়ানোর কারণে গায়ে শক্তি না থাকার কারণে ধরে রাখতে পারিনি। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে একটু সুস্থ হয়ে পাটকেলঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। থানায় অভিযোগের পরে আলতাফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। সে কারণে আবারও নিরাপত্তা চেয়ে পরের দিনেই তাদের নামে থানায় সাধারন ডায়েরী করি।এলাকার আবু সাইদ দফাদার (২৫), মিলন সরদার (৩০), সামছুর গাইন (৩৫), আনিছুর গাইন (৫৫), শওকত শেখ (৩৫) ও জাহানারা বেগম (৫৫) জানান, প্রতিনিয়ত আমাদের এলাকায় মলম পার্টি বাড়ির সকলকে অজ্ঞান সব কিছু নিয়ে চলে যাচ্ছে। এ ঘটনার ২/৩ দিন আগে থেকে আলতাফের সাথে সাতক্ষীরার কালিগজ্ঞ থানা এলাকার একজনকে ঘুরতে দেখেছি। এঘটনার পরে তার আর এলাকায় দেখা যায়নি।তারা বলেন, সকালে এই বাড়িতে এসে দেখি পরিবারের সবাই অসুস্থ। সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। আমরা সহযোগীতা করে গ্রামের বাসুদেব ডাক্তার কে ডেকে এনে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করি। ৮/৯ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমরা আতংকে আছি। এদিকে আবার আলতাফ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিসের নামে বিষয়টি ধাঁমা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তারা জানান। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কৃষ্ণ শার্শার ঘটনায় থানায় অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে আছে। তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট