শাহ জাহান আলী মিটনঃ
ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্ত থেকে ১ কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের ১০ পিচ স্বর্ণের বারসহ জুলফিকার আলী নামের এক চোরাচালানীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিজিবি সদস্যরা স্বর্ণসহ উক্ত চোরাচালানীকে আটক করে। এ সময় জব্দ করা হয় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও। জব্দকৃত স্বর্ণসহ মোটর সাইকেলের মূল্য ১ কোটি ৭৬ হাজার টাকা। তবে, ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেলেন এই স্বর্ণের মূল মালিকরা।
আটককৃত স্বর্ণ চোরাচালানী জুলফিকার আলী (৪৪) সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামের মৃত সলেমান মোল্লার ছেলে।
বিজিবি জানায়, স্বর্ণের একটি বড় চালান বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি বৈকারী বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার সৈয়দ রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্তের মেইন পিলার ৭ ও সাবপিলার ৪৯-এস হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সদর উপজেলার বৈকারী বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে স্বর্ণ চোরাচালানী জুলফিকার আলীকে তার ব্যবহৃত হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশী চালিয়ে একটি প্যাকেটে রক্ষিত ১০ পিচ স্বর্নের বার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ১ কেজি ১৬০ গ্রাম। বিজিবি আরো জানায়, জব্দকৃত স্বর্ণসহ মোটর সাইকেলের মূল্য ১ কোটি ৭৬ হাজার টাকা।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক চোরাচালানী জুলফিকার আলীকে সদর থানায় সোপর্দ এবং স্বর্ণেরবার গুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে, বিজিবির এই কর্মকর্তা আরো জানান, বৈকারী এলাকার হাসান ও হারুনের মালিকানাধীন এই সোনার বাহক ছিলেন আটক জুলফিকার। জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন আটক জুলফিকার।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে জুলফিকার আলীর নাম উল্লেখসহ কুখ্যাত স্বর্ণ চোরাচালানি হাসান ও হারুনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিকেলে জুলফিকার আলীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট