ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
ভারতের করোনা ভাইরাস নতুন রুপে যখন চরম মহামারী আকার ধারন করেছে তখন সাতক্ষীরা সীমান্তের সোনাই নদীতে ২ দেশের লোক গোসল সহ নানা কাজ সারছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে যোগাযোগে কড়াকড় আরোপ করলেও তা কতটুকু আশান্নরুপ ফল আসবে তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্নের সম্মুখীন দেখা দিয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্টের সাথে সাতক্ষীরা জেলার মোট সীমান্ত ২৭২ কিলোমিটার।এর মধ্যে স্থল সীমান্ত ভারতীয়রা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দিলেও জলসীমা খোলামেলা ভাবে রয়েছে।এ জলসীমার বৃহৎঅংশ সমুদ্র ও সুন্দরবন। এ ছাড়া দেবহাটা ও কালীগঞ্জ উপজেলার ইছামতি নদী কিছুটা নিরাপদ হলেও অনিরাপদ হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরা সদর ও কলরোয়া উপজেলার সীমান্ত নদী সোনাই। এ নদী যশোর জেলা সীমান্তের চান্দুড়ীয়া হয়ে কলারোয়া উপজেলার মধ্যে দিয়ে সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার।
এ ৩০ কিলোমিটার নদীপথে চোরাচালান সহ অবৈধভাবে ২ দেশের সীমান্তবর্তীরা খুব সহজেই বিজিবি-র চোঁখে ধুলা দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। যার মধ্যে চন্দনপুর,মাদরা, ভাদীয়ালী,কাঁকডাঙ্গা,কেঁড়াগাছী,তলুইকাছা,কালীয়ানী,ও বৈকারী অন্যতম। আজ ২৭ এপ্রিল সোনাই নদীর সীমান্তে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখাগেছে,২ দেশের বাসিন্দারা নিত্য কাজে নদীর পানি ব্যবহার করছে।তা ছাঁড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানিয়েছেন বিজিবি-র টহল থাকলেও গোসল করার অজুহাতে দালালরা চোরাচালান সহ টাকার বিনিময়ে যাত্রী পারাপার করে।
সে কারনে যে সমস্থ চোরাচালানকারী দুর্যোগকালীন সমায়ে এমন কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে তাঁদের দিকে নজরদারী সহ সোনাই নদীতে সাধারণের সকল কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন সু-নাগরিকরা।বিজিবি-র পক্ষ থেকে নদীর পানি ব্যবহার সহ সব প্রকার কাজ কর্ম বন্ধের জন্য বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না।সীমান্তবর্তী সচেতন গ্রামবাসী জানিয়েছেন,চোরাচালান বা অবৈধ যাত্রী পারাপার বন্ধ করলেই হবে না নদী ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে বন্ধ না করলে ভারতের করোনার নতুন রুপ সাতক্ষীরায় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।