সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউপি নির্বাচনে
প্রার্থীতা ঘোষনা করায় প্রতিপক্ষের দ্বারা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ধর্ষন
চেষ্টা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের
আয়োজন করেন, উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জিয়াদ আলী
কাগুজির ছেলে কে এম রওশন আলী।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার চাচাতো ভাই কে.এম মোশাররফ হোসেন
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু
নির্বাচনে জয়লাভের পর তার কন্যা শাফিয়া খাতুন ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষকে
হয়রানিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালাতে থাকেন। বিশেষ করে আমি যখন আগামী
নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা শুরু করেছি তখন থেকেই
তিনি আমার বিরুদ্ধেও নানা চক্রান্ত শুরু করেন। সম্প্রতি তার এক কর্মী
বানিয়া পাড়া গ্রামের জামাত আলী গাজীর ছেলে কেরামত আলী একই এলাকার হাফিজুল
ঢালীর স্ত্রী রাফিজা বেগমকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী অসহায়
পরিবারটি আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসলে আমি তাদের কালিগঞ্জ থানায় মামলা
করার পরামর্শ দেই। সে অনুযায়ী ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি মামলা করেন।
যার নং- ৫৩, তাং-২৯/০৪/২০২১। মামলা দায়েরের পর শাফিয়া এবং তার লম্পট
কর্মী কেরামত আলী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তার কু পরামর্শে
কেরামতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে গত ৩০/০৪/২০২১
তারিখে পাল্টা একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলার এজাহার থানায় জমা দেন এবং শাফিয়া
বিভিন্ন মাধ্যমে তদবীর করে গত ০২/৫/২০২০১ তারিখে মামলাটি রেকর্ড করান। যা
জঘণ্য মিথ্যাচার। অথচ উল্লেখিত ধর্ষন মামলার আসামী কেরামতের নামে
চাঁদাবাজি, ধর্ষনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লম্পট কেরামতের হাতে নির্যাতনের
শিকার হয়েছেন অনেক মহিলাও। আমি ভুক্তভোগী রাফিজার পক্ষ নেয়ায় ও আগামী
নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করায় তারা আমার বিরুদ্ধে এ মামলাটি
দায়ের করেন। তিনি বলেন, উক্ত মিথ্যা ধর্ষণ মামলাটি দায়েরের পর তারা আমার
বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় কাল্পনিক মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমাকে সেখানে
জামায়াত নেতা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। অথচ আমরা পারিবারিকভাবে বাংলাদেশ
জাতীয় পার্টির সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের পরিবারের কেউই জামায়াতের রাজনীতির
সাথে জড়িত ছিলেননা, বর্তমানেও নেই। তিনি আরো বলেন, আমি সম্পূর্ণ
প্রতিহিংসার শিকার। আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দেয়ার পর থেকে
শাফিয়াসহ তার সহযোগীরা আমার বিরুদ্ধে একের পর এক এধরনের ন্যাক্কার জনক
মিথ্যাচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। আমাকে এভাবে
সর্বশান্ত করতে পারলে আগামী নির্বাচনে শাফিয়ার নিজের চেয়ারম্যান হওয়াটা
নিশ্চিত হবে বলে তিনি মনে করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তিনি (রওশন আলী)
কেরামতের হাতে নির্যাতনের শিকার মহিলার ন্যায় বিচারসহ তার বিরুদ্ধে দায়ের
করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। একই সাথে এ ঘটনায় জড়িতদের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।