নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শহিদুল ইসলামের
বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি, এজেন্ট ও কর্মী
সমর্থকদের হুমকি ধামকি এবং বাড়ির পাশের কেন্দ্র দখল করে জোর পূর্বক ভোট
নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক
সংবাদ সম্মেলনে বাঁকাল গ্রামের মৃতঃ শেখ সুলতান আহম্মদের ছেলে ৬ নং
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মারুফ আহম্মেদ এই অভিযোগ করেন
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সাতক্ষীরা
পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে ডালিম
প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বর্তমান
কাউন্সিলর টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের মোঃ শহিদুল ইসলাম একজন নাশকতা
সৃষ্টিকারী। তিনি ইতিপূর্বে হত্যা সন্ত্রাস, নাশকতা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য
আইনের মামলায় একাধিক বার জেলহাজত খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা
বিচারাধীন আছে। তার কারেন আমি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছিনা। তিনি
ও তার লোকজন আমার কর্মী সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার
নির্বাচনী এজেন্টরা যাতে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন না করে সেজন্য তাদেরকে
হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এছাড়া শহিদুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান রাতের আধারে
আমার ডালিম প্রতীকের পোষ্টার ছিড়ে দিচ্ছে। ভোটের আগের রাতে কোন কেন্দ্রে
ডালিম প্রতীকের পোষ্টার থাকবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।
শেখ মারুফ আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার ওয়ার্ডের মধ্যে কুখরালী সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা-৩,১৮৫ জন। এই কেন্দ্রটি আমার
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলামের বাড়ির পাশে হওয়ায় কেন্দ্রটি
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। এই কেন্দ্রের পাশে আমার কোন প্যান্ডেল করতে দিবে না
এবং আমার ভোটার সমর্থকদেরকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দিবে না। এমনকি কেন্দ্রে
আমার কোন এজেন্ট থাকতে দিবে না। এই সুযোগে তারা জোরপূর্বক ভোট মেরে নিবে
এবং ভোট যাই হোক না কেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীককে বিজয়ী ঘোষনা করা হবে বলে
শহিদুলের ছেলে আসাদুজ্জামান প্রচার দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম একজন
সন্ত্রাসি ও কালো টাকার মালিক। বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা ইভিএমএ তার
পক্ষে ভোট নিবে মর্মে শহিদুল এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে
অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্র্রধান নির্বাচন কমিশনার, ৪
জন কমিশনার, সদস্য সচিবসহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা
নিবার্চন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। শহিদুল বর্তমানে স্বঘোষিত
হাইব্রিড আওয়ামী নেতা সেজে দলের কয়েক নেতাকে ম্যানেজ করে ভোটের দায়িত্ব
থাকা প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রভাবিত করে ভোট নিজের
পক্ষে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তিনি ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ঘরে ঘরে
টাকা বিতারণের মাধ্যমে ভোট ক্রয় করা শুরু করেছেন। তিনি সাতক্ষীরা পৌসভার
৬নং ওয়ার্ডে প্রত্যেক কেন্দ্রে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষে কামনা করেন।