নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাতক্ষীরায় ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করার সময় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার শরীফ হাসানুল বান্না ওরফে সুমন বাবুসহ ৬ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের ওয়ারিয়া পূজা মন্ডপের সামনে থেকে ৫ জনকে এবং সোমবার ভোরে সদর উপজেলার মাগুরা বউ বাজার এলাকা থেকে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একজোড়া হ্যান্ডক্যাপ,পুলিশের পোশাক, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোটরসাইকেল। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে এক প্রেসব্রিফিং এসব তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নারানজোল পূর্বপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের পুত্র ডাকাত দলের প্রধান শরীফ হাসানুল বান্না ওরফে সুমন বাবু (৩৪), একই উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের রফিকুল ইসলাম সরদারের পুত্র জাহিদ হোসেন (২৭), কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের ফজের আলী কারিকরের পুত্র রাশেদুল কারিকর (৩২), সদর উপজেলার কাশেপুর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের পুত্র সাব্বির হোসেন (২২), একই উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের মৃত শেখ মোকছেদুর রহমানের পুত্র শেখ হাফিজুর রহমান ওরফে সাহেব আলী ও গোবিন্দকাটি গ্রামের নজরুল মোড়লের পুত্র ইকরামুল মোড়ল (২৪)।
প্রেসব্রিফিং পুলিশ সুপার জানান, সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙী এলাকারগরু ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম ও তার পুত্র রিফাত হোসেন গরু বিক্রির ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে রবিবার রাতে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাতক্ষীর-যশোর মহাসড়কের ওয়ারিয়া পূজামন্ডপের সামনে আসলে তাদেরকে গতিরোধ করে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে একদল ডাকাত। মাদকদ্রব্য থাকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদেরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে টাকা কেড়ে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। ঝাউডাঙ্গা বাজার পার হওয়ার পর গরুব্যবসায়ী আনোয়ারুল ও তার ছেলে রিফাত হোসেনকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে তাদের চিৎকারে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। তবে এ সময় পালিয়ে যায় ডাকাত সর্দার শরীফ হাসানুল বান্না। এরপর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তিতে দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্নাকে সোমবার ভোরে সদর উপজেলার মাগুরা বৌ-বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উক্ত ডাকাতদের কাছ থেকে জব্দ করা একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একজোড়া হ্যান্ডক্যাপ,পুলিশের পোশাক, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোটরসাইকেল। এঘটনায় ভুক্তভোগী শেখ আনোয়ারুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-৫০। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।##