সাতক্ষীরা ট্রিবিউন ঃ
সাতক্ষীরায় মাদকাসক্ত যুবককের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পরিবারের তিন সদস্য গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর সান্ধায় সাতক্ষীরা সদরের পুরাতন সাতক্ষীরা
বসতিপাড়া এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সদরের পুরাতন সাতক্ষীরা মুনশিপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক কাজী নাছির উদ্দীন (৭২) ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫০), কন্যা হাবিবা নাছরিন নিপা (৩০)। আহতরা আশংকাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় আহত কাজী নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় নয়জনকে আসামি করে এজাহার জমা দিয়েছে।
বাদীর বক্তব্য ও এজাহার সূত্রে জানাজায়, পুরাতন সাতক্ষীরার বসতিপাড়া এলাকার মাদকাসক্ত রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে আমার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বজলুর রহমান, মোঃ ইলিয়াস হোসেন, মোঃ রোকন, শহিদুল ইসলাম, মোঃ সিদ্দিক, আলমগীর, শিরিন, শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, তাদের বাড়িতে জমে থাকা পানি জোর করে আমার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করানোর বিষয়ে প্রতিবাদ করলে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার সান্ধায় মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী রবিউলের নেতৃত্বে তারা লোহার রড, শাবল, কোদাল বাঁশের লাঠি, নিয়ে আমার বাড়ির সামনে একত্রে এসে হামলা করেছে। তারা প্রথমে আমার কন্যা হাবিবা নাছরিন নিপাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় আমার মেয়ের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, গলায় থাকা সোনার চেন ও হাতের আংটি টেনেহিঁচড়ে নিয়ে নেয় তারা। আমি ও আমার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ঠেকাতে গেলে তারা আমাদের উপরেও হামলা করে। এসময় আমাদের আর্তচিৎকারে আসপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। এবিষয়ে পুলিশকে জানালে আমাদের মেরে ফেলা হবে, হামলা শেষে যাওয়ার সময় তারা আমারদের এমন হুমকি ধামকি দিয়ে গেছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা পুলিশ সুপার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই হামলা কারিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি স ম কাইউম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট