ডেস্ক রিপোর্ট ঃ সাতক্ষীরা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এনএটিপি – ২ প্রকল্পের আওতায় সিআইজি মৎস্য সমবায়সমিতির সদস্যদের মাঝে পিকাপ ভ্যান বিতারণ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সমিতির সদস্যদের মাঝে তিনটি পিকাপ ভ্যান হস্তান্তর করাহয়।
পিকাপ ভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ আবু সাইদ, সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান, সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হাসান সাজ্জাদ, এনএটিপি -২ প্রকল্পের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান, এনএটিপি -২ প্রকল্পের ক্ষেত্র সহকারী মোঃ জাহিদ হাসান ছাড়াও সিআইজি ও পিত্ত সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হাসান সাজ্জাদ জানান, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ – ২ প্রজেক্ট এর আওতায় দুই টি দেড টনি পিকাপ সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর সিআইজি মৎস্য সমবায় সমিতি ও গাংনিয়া সিআইজি মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মৎস্য প্রডিউসার অর্গানাইজেশন সমবায় সমিতি কে প্রকল্পের এগ্রিকালচার ইনোভেশন ফান্ড – ৩ এএআএফ ৩ এর আওতায় আরো একটি ৩ টনি পিকাপ ভ্যান বিতরণ করাহয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান জানান, করোনার এই সংকটময় সময়ে মাছ পরিবহন ও বাজারজাত করণে পিকাপ ভ্যান গুলি ব্যবহার ব্যবহার হবে। এছাড়া মৎস্য চাষিরা পিকাপ এর মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ মাছের বাজার চালু করবে। যাতে করে স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে ঘরে মাছ পৌঁছে যেতে পারে। মাছ চাষের পাশাপাশি পিকাপ থেকে আয়ের অর্থ দিয়ে সমিতির সদস্যরা আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হবে।
খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ আবু সাইদ জানান, কোভিড-১৯ করোনার সংকটময় সময়ে মৎস্য, মৎস্য পোনা ও মৎস্য খাদ্য উপকরণ বাজারজাত করণ ছাড়াও পরিবহনের সমস্যা লাঘবের জন্য মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে এই পিকাপ গুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এনএটিপি – ২ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে মাছের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মৎস্য চাষিদের প্রবেশাধিকার শক্তিশালী করা। প্রকল্পটি বাংলাদেশের ৫৭ টি জেলায় ২৭০ টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।