নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ এম, শাহ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তোজাম্মেল হোসেন তোজাম সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দায়িত্ব পালন না করিয়া লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেট বর্হিভূত ভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে খরচ অপচয় সহ গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ও বাজেট বহির্ভুত কাজ করায় ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বারের সম্মান রক্ষার্থে ১৮ মার্চ সকল সাধারণ আইনজীবীদের নিয়ে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী ঐক্যপরিষদ নামে সর্বদলীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন এ্যাডঃ স,ম, সালাহ উদ্দিন, সদস্য সচিব নির্বাচিত হন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ মোঃ আব্দুল মজিদ, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হন সাবেক পিপি, সাতক্ষীরা ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাডঃ এস,এম, হায়দার। উক্ত কমিটি করার পর এ্যাডঃ শাহ আলম ও এ্যাডঃ তোজাম্মেল হোসেন তোজাম আইনজীবী ঐক্যপরিষদের নির্বাচিত নেৃতবৃন্দ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্মান হানি করিবার গভীর ষড়যন্তে লিপ্ত থাকে ও ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে। ২৭ এপ্রিল বেলা ১২টা ৩০মিনিটে এ্যাডঃ স,ম, সালাহ উদ্দিন এর ল চেম্বারে ২০ জন আসামী প্রত্যেকে হাতে লোহার রড, লাঠি, হকিস্টিক, ইট ইত্যাদি নিয়ে ধর, মার, ভাংচুর কর মর্মে শ্লোগান দিতে থাকে। আসামীরা দলবদ্ধ ভাবে শক্তির মহড়া দিতে থাকে ও ত্রাস সৃষ্টি করতে থাকে। ভীতিকর অবস্থা, বিশৃংখলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করে ল চেম্বারে বাড়ী মারে। নামফলক ভাংচুর করে এবং ক্ষতিসাধন করে। আসামীগন অশ্লীল অমার্জিত ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ত্রাস সৃষ্টি করে। সাধারণ আইনজীবীরা প্রাণভয়ে দৌড় মারে। উক্ত ঘটনায় সাবেক এমপি এ্যাডঃ স.ম. সালাহউদ্দিনের পক্ষে এ্যাডঃ মোঃ নুরুল আমীন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করে। মামলার আসামীরা হলেন, সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ এম, শাহ আলম, এ,এস,এম, আশরাফুল আলম, এ্যাডঃ সরদার আমজাদ হোসেন, এ্যাডঃ তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, এ্যাডঃ ওসমান গনি, এ্যাডঃ তপন কুমার দাস, এ্যাডঃ আজিবর রহমান, এ্যাডঃ জেড,এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ্যাডঃ শেখ ইজেএস হাসিব, এ্যাডঃ আসাদুল ইসলাম আসাদ, এ্যাডঃ তারিফ ইকবাল অপু, এ্যাডঃ শেখ আরিফুর রহমান আলো, এ্যাডঃ সরফুদ্দিন ইসলাম, এ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম, এ্যাডঃ আমিনুর রহমান চঞ্চল, এ্যাডঃ শাহেদুজ্জামান শাহেদ, এ্যাডঃ জিয়াউর রহমান, এ্যাডঃ শামিমুর রেজা শামিম, এ্যাডঃ গাজী আব্দুস সালাম, এ্যাডঃ আসাদুর রহমান বাবু সহ আরো অনেক অজ্ঞাতনামা আসামী। একইদিন আসামীরা ঘটনাস্থলে প্রত্যেকে হাতে একই দিন ১২টা ৩০ মিনিটের সময় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সাতক্ষীরা ল কলেজের অধ্যক্ষ, সাবেক পিপি এ্যাডঃ এস,এম হায়দার এর ল চেম্বারে আসামীরা একইরুপ ঘটনা ও তান্ডব চালায়। উক্ত ঘটনায় এ্যাডঃ এস,এম, হায়দার এর পক্ষে এ্যাডঃ মোছাঃ সেলিনা আক্তার শেলি বাদী হয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল, সাতক্ষীরায় মামলা করে। একইদিন ১২টা ৪৫ মিনিটের সময় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এ্যাডঃ মোঃ আব্দুল মজিদ এর ল চেম্বার একই আসামীরা তান্ডব সৃষ্টি করে একই কায়দায় ভাংচুরের চেষ্টা করে একই রকমের ঘটনা ঘটায়। উক্ত ঘটনায় এ্যাডঃ আব্দুল মজিদের পক্ষে এ্যাডঃ মোঃ শাহিনুজ্জামান শাহিন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে মামলা করেছে। প্রত্যেকটি মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত মামলায় উল্লেখ আছে যে, আসামী এ্যাডঃ এম, শাহ আলম সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ভাংচুর ও ক্ষতি সাধন করায় বিজ্ঞ বিচারক নিজে এজাহারকারী হয়ে এ্যাডঃ এম, শাহ আলম সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। উক্ত মামলায় এ্যাডঃ এম, শাহ আলমের ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড হয়। যাহা পরবর্তীতে আপীলে দন্ডাদেশ বাতিল হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট