প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২০১৯ সালে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হবার পর হতে জেলা শ্রমিকলীগের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। জেলা শ্রমিকলীগের পক্ষ হতে জাতীয় বা দলীয় কোন কার্যক্রম আর পালিত হতো না। কার্যনির্বাহী কমিটির কোন মিটিংও হতোনা। নিস্তেজ হয়ে পড়ে জেলা শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা। সাইফুল করিম সাবু জেলা শ্রৃমিকলীগের কার্যালয়টিও অন্যের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। ফলে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের বসার জায়গাটিও বর্তমানে সাতক্ষীরায় নেই। এসব বিষয় জানতে পেরে কেন্দ্রীয় কমিটি সাইফুল করিম সাবু ও এমএ খালেককে বার বার সতর্ক করলেও তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সেই নির্দেশনা অমান্য করেছিলেন। ফলে জাতীয় শ্রমিকলীগের গঠনতন্ত্রের ১৫(ঘ) ধারা মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষে আব্দুল্লাহ সরদারকে আহবায়ক, বিকাশ কুমার দাশকে যুগ্ম আহবায়ক ও মাহমুদুল আলম বিবিসিকে সদস্য সচিব করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ঠ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক কেএম আজম খসরু। ‘গঠনতন্ত্র মেনেই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমাদের কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। আমাদের প্রশ্ন, ২০১৯ সালের মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির স্বাক্ষরে বহাল থাকে কিভাবে? এছাড়া সাবু ও খালেকের ওই কমিটি ২০১৭ সালে কে অনুমোদন দিয়েছিলেন? আমরা যতটুকু জানি, ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম নিজেই সাইফুল করিম সাবু ও এমএ খালেকের ওই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন। যদি তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত সাইফুল করিম সাবু ও এমএ খালেকের কমিটি বৈধ হয়ে থাকে তবে আমাদের এই কমিটিও অবৈধ হয় কিভাবে?
আমাদের নবগঠিত আহবায়ক কমিটি অনুমোদন হবার পর হতে এক সময়কার ইসলামী সংঘ(এনএসএফ) এর সক্রিয় সদস্য সাইফুল করিম সাবুর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি নবগঠিত কমিটির আহবায়ককে অনুপ্রবেশকারী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে জঘন্য ভাষায় নানা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ সাবু নিজেই একজন অন্যাণ্য দল হতে আ’লীগে অনুপ্রবেশ করেছেন। তিনি নিজের আখের গোছাতে এখন পর্যন্ত আ’লীগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি কখনই আ’লীগকে মনে প্রাণে ধারণ করতে পারেননি। একারণে তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে হরিণ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছিলেন। ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের ২ দিন আগে তিনি শ্রীলঙ্কায় চলে গিয়ে ছিলেন। এছাড়া গত উপজেলা নির্বাচনে তিনি দলীয় নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করেছিলেন। জাতীয় শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্র ও দেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী সাবু নিজে বাস মালিক সমিতির সভাপতি/সদস্য থাকাবস্থায় শ্রমিকলীগের কমিটিতে থাকতে পারেননা। অথচ তিনি কিভাবে নিজেকে জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি হিসেবে দাবী করেন?
জেলার সকল ইউনিটের কমিটি দেওয়ার সময় সাবু শ্রমিকলীগের প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে জামায়াত-বিএনপির দ্বারা মদদপুষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করেছেন এবং জেলা শ্রমিকলীগকে বিতর্কিত করতে যত প্রকার ষড়যন্ত্র করার দরকার সেটি করেছেন এবং এখনও করছেন।
অতএব, বিতর্কিত সাইফুল করিম সাবুর কথায় শ্রমিকলীগের কোন সদস্য বিভ্রান্ত না হয়ে বর্তমান এই আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে সকল কার্যক্রমে সংক্রিয় অংশগ্রহণ করার জন্য সকলকে উদাত্ব আহবান জানাচ্ছি। সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু সম্পর্কে অর্থবানিজ্যসহ যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাইফুল করিম সাবু দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।