স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কে, এম, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ভবন সংস্কার না করে ভুয়া বিল-ভাউচার করে সরকারী টাকা অত্মসাৎ, বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ে ৫০% ঘুষ গ্রহণ, SEIP ASSET প্রকল্পে নিয়োগ বাণিজ্য, SDF & BRDB আবাসিক কোর্সের খাবারের টাকা আত্মসাৎ, এজেন্সির ব্যবসা এবং পিটিও ভর্তির ২০০- টাকার মধ্যে অনাভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষক সম্মানী,উন্নয়ন বাবদ ৭০ টাকা নিজেরমত ভুয়া বিল-ভাউচার করে লক্ষ লক্ষ
সরকারী টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এর বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি টাকা আত্মসাৎ এর তদন্ত চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে, এম, মিজানুর রহমান ২০১২-১৩ অর্থ বছরের প্রায় ৫ লক্ষ ও ২০১০- ২৪ অর্থ বছরের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা সর্বমোট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা
ভবন সংস্কার ও মেরামত খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ভবন সংস্কার ও মেরামত না করে নিজের ক্ষমতাবলে নামে মাত্র ৫০-৬০ হাজার টাকার টয়লেট মেরামত করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ভূয়া বিল-ভাউচার করে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও একাডেমিক ও ডরমেটরী ভবনের অনেক জায়গায় লোনা লেগে ধ্বসে যাওয়া, প্লাস্টার সংস্কার , টিটিসি’র নিরাপত্তার জন্য নির্মিত প্রাচীরের সংস্কার না করে বরাদ্দকৃত টাকা নয়ছয় করে লুটপাটের কারনে উক্ত কেন্দ্রের স্থাপনাগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পরে আছে। কে এম মিজানুর রহমানের দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে না পারার কারনে টিটিসি’র সকল ধরনের ক্রয় থেকে ৫০% ঘুষ গ্রহণ করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার কারনে প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করতে না পারায় প্রশিক্ষণ পরিচালনায় ব্যহত হচ্ছে। এখানেই শেষ নয় ক্ষমতার দাপটে কে এম মিজানুর রহমান তার নিজ স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তারকে BRDB এবং SDF কোর্সে গার্মেন্টস ট্রেডে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
অপরদিকে কে এম মিজানুর রহমানের যোগসাজশে SDF এবং BRDB আবাসিক কোর্সের খাবারের দায়িত্ব SEIP প্রকল্পের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত আরিফুল ইসলাম (জেপিও) এর নিয়োগের মেয়াদ শেষ হলেও আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে বিআরডিবির কোর্সের তত্তাবধায়ক, এসডিএফের মনিটরিং কর্মকর্তা, আবাসিক কোর্সের হোস্টেল ইনচার্জ, ক্রয় ও বাজার যাচাই কমিটির সমন্বয়কারী পদসহ বিভিন্ন পদের দায়িত্বে রেখে নিয়ম বর্হিভূত বিল ভাউচার স্বাক্ষর করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন কে, এম, মিজানুর রহমান স্বৈরাচারি প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিগত সরকারের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ঢাপ প্রয়োগ করে অবৈধ বিল ভাউচারে স্বাক্ষর নিয়ে বিগত ৪ বছরে প্রায় ৩৭ লক্ষ ৩০ হাজার সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেছে। কে এম মিজানুর রহমান এর আগেও তার পূর্বের কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা টিটিসি-তে এই ধরনের সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য প্রসাশনিক মন্ত্রণালয় ও বিএমইট কর্তৃক তদন্তে প্রমাণিত হয়ে জরিমানা দিয়ে পার পেলেও শাস্তি স্বরুপ তাকে সাতক্ষীরায় বদলী করে। এখানে এসেও তার অনিয়ম দূর্ণীতির মাত্রা আরো বাড়িয়েছে। এ বিষয়ে কে এম মিজানুর রহমানের দূর্নীতি বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিযোগকারীরা।