সাতক্ষীরা ট্রিবিউন : সাতক্ষীরা যশোর সড়কে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে। এসময় ডিবি পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালিয়েছে স্বর্ণ পাচারকারীরা। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ও হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক স্বর্ণ পাচারকারী। তবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। পাচারকারীদের ছোড়া ককটেলে তোহিদ ইসলাম ও রনবীর নামে পুলিশের দুই সিপাহি আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে শার্শা উপজেলার জামতলা এলাকার মবিল ফ্যাক্টরির সামনে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিরা হলেন- কুমিল্লার সাজাদিয়া গ্রামের আবুল সরকারের ছেলে রবিন (৪৫) ও একই জেলার পাঁচ গাছিয়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে কাশেম(৩৫)।
পুলিশ জানায়, রাত দেড়টায় নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জামতলা এলাকার মবিল ফ্যাক্টরির সামনে শার্শা থানা পুলিশ ও যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনার সময় দ্রুতগামী একটি সাদা প্রাইভেটকারের গতিরোধ করা হয়। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কুমিল্লা থেকে এসেছেন বলে জানান।
এসময় তাদের কথায় সন্দেহ হলে তাদের দেহ ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে তাদের কাছে নয় কেজি ৭৫৮ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় মহাসড়কের দুই দিক থেকে ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেলে ৬০-৬৫ জন ব্যক্তি এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়লে তারা পালিয়ে যান। সন্ত্রাসীদের ছোড়া ককটেলে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থলের ২০০ গজ দূরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়া এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এ অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, আটক ব্যক্তিদের দেহ ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে নয় কেজি ৭৫৮ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এছাড়া পাচারের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এবং ককটেল হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। মোটরসাইকেলগুলোর সূত্র ধরে দ্রুত সন্ত্রাসীদের আটক করা হবে।
তিনি আরও জানান, আহত দুই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জব্দ করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য সাত কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নামে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।